দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বাম্পার ফলনে করলা চাষে লাভবান কৃষক

প্রচন্ড তাপদাহে প্রকৃতিতে বিরাজ করছে কৃষি বৈরী পরিবেশ। আবহাওয়ার বৈরীতায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ দেখা দিলেও বাম্পার ফলনে মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।

রোগবালাই কম হওয়ায় এবারে বিভিন্ন জাতের নিরাপদ সবজি চাষে লাভবান হয়েছে সবজি চাষী। বিশেষ করে উচ্চ ফলনশীল করলা চাষে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ৩২হাজার ৮শত ৯৬হেক্টর। খরিপ-০১ মৌসুমে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫০হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে করলা আবাদ হয়েছে ১৮হেক্টর জমিতে।

এ ব্যাপারে উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর গ্রামের সবজি চাষী মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, এই মৌসুমে ৪০শতক জমিতে মহারাজ প্লাস জাতের করলার চাষ করেছেন তিনি। করলা চাষে সর্ব মোট খরচ হয়েছে ৩৫হাজার টাকা। এ পর্যন্ত ৭৫হাজার টাকার করলা বিক্রয় করেছি। এখনও একমাস পর্যন্ত করলার ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। ৪০শতক জমিতে ধান চাষ করে যে পরিমান লাভ হয় করলা চাষে তার চেয়ে দ্বিগুন পরিমান লাভ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

একই কথা জানিয়ে আহম্মদ জুয়েল বলেন, এবার কৃষক সবজি চাষে মোটামুটি লাভের মুখ দেখছে। সরকার যদি সবজি বাজার সঠিক ভাবে মনিটরিং করে তাহলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। আমরা আশা করছি কৃষকদের উৎপাদিত মালামাল সরাসরি ন্যায্য মুল্যে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ সব ধরণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কাসেম জানান, নিরাপদ সবজি উৎপাদনে বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষক এবং কৃষি বিভাগ বেশ সুনাম অর্জন করেছে। সবজি চাষে কীটনাশক প্রয়োগের পরিবর্তে সেফেরোমেন ব্যবহার এবং রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহারের ফলে উৎপাদিত সবজি অনেকটাই নিরাপদ।

এজন্য এই এলাকার উৎপাদিত সবজি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই নিরাপদ সবজি উৎপাদনে লাভবান হয়েছেন এই এলাকার কৃষক।