দিনের বেলায়ও ফেরি চলাচলের অনুমতি দিলো সরকার

ঘরমুখী মানুষের বিড়ম্বনা এড়াতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে দিনের বেলাতেও ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক আশিকুজ্জামান।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেল সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে ঈদের ছুটিতে কর্মস্থলের এলাকা ত্যাগ না করার আহ্বান জানানো হয়। মানুষের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া ঠেকাতে বন্ধ করা হয় দূর পাল্লার যানবাহন ও লঞ্চ। বন্ধ হয় ফেরি চলাচলও। কিন্তু ঈদে ঘরমুখী মানুষকে থামানো যায়নি। গত কয়েকদিন ধরেই ফেরিঘাটে প্রচণ্ড ভিড়। এ ভিড় কমাতে শুধু মানুষ নিয়েই দু-একটি ফেরি পার হয়। ঘাটে জনস্রোত ঠেকাতে নামানো হয় বিজিবি। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় ফেরি চলাচল। এদিকে ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপে ফেরিগুলোতে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপারে বিলম্ব হয়। ঘাটে আটকে থাকা বিভিন্ন ধরনের পচনশীল পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল।

এরই মধ্যে যানবাহনের জট কমাতে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ রবিবার রাতভর ১৬টি ফেরি দিয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন পারাপার করে। আর দিনেরবেলায় শুধু জরুরি পরিসেবার জন্য দুটি ফেরিতে যানবাহন পারাপার চালু রাখা হয়।

এ নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেছিলেন, দিনে ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরি পরিসেবায় বহরের ১৬টি ফেরির মধ্যে দুটি দিয়ে কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তাও অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী ছাড়া ফেরিতে উঠতে পারবে না। তবে রাতে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য সব ফেরি সচল রাখা হবে।

এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আজ থেকে দিনের বেলাতেও ফেরি চলার অনুমতি দিল বিআইডব্লিউটিসি।