দেশজুড়ে বৃষ্টির ঘনঘটা : ঝরবে আরো ২/৩ দিন

আষাঢ় মাসের বৃষ্টি-বাদল নিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন – নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে/ ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। আষাঢ়ের শেষে বেশ কয়েকদিন ধরে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও পার্বত্য জেলাগুলোতে বৃষ্টি পড়ছে তো পড়ছেই।

বিশেষ করে চট্টগ্রামে তো রীতিমতো জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সঙ্গে আছে ভোগান্তি। বিষয়টা এমন যে পায়ের নিচেও পানি, মাথার ওপরেও পানি।

অবিরাম বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি আর বান্দরবানে পাহাড়ধসের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার মানুষ। ভরে উঠছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো।

অন্যদিকে, রাজধানীর আকাশ গত কয়েকদিনের মতোই গোমড়া মুখে বসে আছে। মাঝে মাঝে ঝরে পড়ছে বৃষ্টি। কখনো তা টিপটিপ আবার কখনো একটু জোরে। কখনো বৃষ্টির পানিতে শরীর ভিজে যাচ্ছে, আবার কখনো যেন তুষার কণার মতো উড়ে যাচ্ছে।

তবে যে রকম বৃষ্টিই হোক না কেন, বর্তমান তাপমাত্রা যাই দেখাক না কেন, গরম বোধটা কিন্তু কমছে না। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ এতো বেশি যে, বৃষ্টির মধ্যেও হাঁসফাঁস লাগছে।

এদিকে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় সারা দেশে আরো দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টিপাত আব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া কার্যালয় জানিয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন, আগামী দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা একই রকম থাকবে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।

বাংলাদেশের উপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে যোগ করেন আবহাওয়াবিদ।