দেশে আল জাজিরা বন্ধে মত দেননি ৬ অ্যামিকাস কিউরি

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের পক্ষে মত দেননি ৬ অ্যামিকাস কিউরি। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমটির সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে দায়েরকৃত রিটের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরিরা বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে ৪ জন অ্যামিকাস কিউরি আদালতকে বলেছেন, লিগ্যাল নোটিশ না দিয়ে দায়েরকৃত এ রিট গ্রহণযোগ্য নয়।

তারা বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর ৮ ধারা অনুযায়ী- শুরুতে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারতো। কিন্তু সেটা করা হয়নি।

সোমবার বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরিদের মধ্যে এ জে মোহম্মদ আলী, কামালুল আলম, ফিদা এম কামাল, প্রবীর নিয়োগী, আবদুল মতিন খসরু এবং শাহদীন মালিক বক্তব্য রাখেন। পরে আগামী বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে আদালত।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ওই টিভি চ্যানেলে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামে প্রচারিত প্রতিবেদনের ভিডিও ও লিঙ্ক ইউটিউবসহ সকল ধরনের সামাজিক যোগাযোগ ও অনলাইন মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে বিবাদী করা হয়েছিলো।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি মতামত দেওয়ার জন্য আজ সোমবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছিলো। গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে আলজাজিরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আলজাজিরার ওই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা ও মানহানিকর’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

বাংলাদেশে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে বাংলাদেশকে নিয়ে সম্প্রতি টেলিভিশন চ্যানেলটিতে প্রচারিত প্রতিবেদন ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুকসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফরম থেকে সরানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন রিট আবেদনটি দাখিল করেছিলেন।