‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাদ পড়তে পারে ভারতের সংবিধান থেকে!

ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত ধর্ম নিরপেক্ষতা শব্দটিকে বাদ দিতে চাইছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের কেন্দ্রীয় শ্রম ও দক্ষতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ের বক্তব্যে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলছে।

দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের কোপ্পাল জেলায় এক জনসভায় হেগড়ে জানান, এদেশে ধর্ম নিরপেক্ষ কারা, তা কেউ জানে না। কি তাদের নির্দিষ্ট ধর্ম, কোথায় তারা থাকেন, তাদের উৎপত্তি কোথায়, কেউ জানেনা।

সুতরাং এই ধর্ম নিরপেক্ষ শব্দটির কোনও মানে নেই। সংবিধান আমাদের শিখিয়েছে এই শব্দের ব্যবহার করতে, মান্যতা দিতে, আমরা মন্ত্রজপের মতো তা করে আসছি। কিন্তু সংবিধান সংশোধনের রাস্তাও আছে। সেই পথে এবার হাঁটা প্রয়োজন।

শুধু তাই নয় এদিন তিনি আরও বলেন, যাঁরা ধর্ম নিরপেক্ষ, তাঁদের নিজেদের রক্তের সম্পর্কে কোন শ্রদ্ধা নেই। ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষেরা নিজেদের বংশ মর্যাদা ও ঐতিহ্যের প্রতি কোন শ্রদ্ধাই রাখেন না। তাঁর মতে কোনও মুসলিম, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষকে তিনি অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করেন, কারণ তারা বিশেষ বিশেষ ধর্মের অনুসারি।

কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ যারা, তাদের নিজস্ব কোনও অস্তিত্ব নেই।
মন্ত্রীর এই হেন আগ্রাসী বক্তব্য ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরেই বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, অনন্ত কুমার কিছুদিন আগেই কর্ণাটক সরকারের টিপু সুলতানের জন্ম জয়ন্তী উদযাপনকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। সেবার তিনি বলেছিলেন, টিপু সুলতান হত্যাকারী ও গণধর্ষক।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে। তাঁর দাবি আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে আগে নোংরা রাজনীতির খেলায় নেমেছে বিজেপি। ধর্মীয় মেরুকরণের তাস খেলে ভোটবাক্সে পার্থক্য গড়া সহজ হবে বা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া।