ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন নাঈম আশরাফ

রাজধানীর বনানীতে একটি আবাসিক হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের মামলার দুই নম্বর আসামি নাঈম আশরাফ (মো. আব্দুল হালিম) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মনিরুল ।

তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে অভিযান চালিয়ে নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাদীদের ভাষ্য অনুযায়ী সেদিন রাতে নাঈমের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ছিল। গ্রেফতারের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে ওমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন্সের তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

সামগ্রিক বিষয় ও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি ধর্ষণ বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, সেদিন রাতের প্রধান ভূমিকা পালনকারী নাঈমকে মাত্রই আমরা গ্রেফতার করেছি। তাকে রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পরই সামগ্রিক বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।

এ ঘটনার বাদী দুই তরুণীকে আসামিদের সঙ্গে মুখোমুখি করা হবে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আসামিদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি, সেগুলো নিয়ে বাদীদের সঙ্গে কথা বলছি। তাছাড়া বাদীরা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করা হয়েছে। তরুণীদের এই অভিযোগের বিষয়টি পুলিশের তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে কিনা। জানতে চাইলে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, সাফাতের বডি গার্ড রহমতের কাছ থেকে তার অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রটি সেই রাতে ব্যবহার হয়েছিল কিনা আমরা তদন্ত করছি।

গতকাল বুধবার অভিযুক্ত সাদমান সাকিফের রিমান্ড শেষ হয়েছে, সাফাতের রিমান্ড শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। তারা আদালতের স্বীকারোক্তি দেবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনে সাদমানকে আবারো রিমান্ডে চাওয়া হতে পারে, সাফাতেরটা এখনই বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়ে বন্ধুদের সহায়তায় ধর্ষণের শিকার হন ওই দুই তরুণী। ওই ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন তারা। মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ (রহমত আলী)।