নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চলছে চিকিৎসার নামে ঘুষ বাণিজ্য, জিম্মি রোগীরা

নরসিংদীতে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চলছে চিকিৎসার নামে ঘুষ বাণিজ্য। চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন সেবা নিতে আসা অসহায় রোগীরা।

ইমার্জেন্সীতে দূর -দূরান্ত থেকে কোন রোগী আসলেই পড়তে হয় হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা অসাধু কর্মকর্তা বসুর কবলে। সে টাকা ছাড়া কোন রোগীকে সেবা দিতে রাজি নয়। বসুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালগুলোতেও টাকার বিনিময়ে রোগী সাপ্লাই দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা বসু চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী ইউসুফ আলী সরকারকে বললেন, আপনার যেই টেস্টগুলো বলা হয়েছে সেগুলো এখানে হবে না। কারণ হাসপাতালের মেশিন ভালো না, পুরোনো। রেজাল্ট সঠিক আসবে না। আমি যেখানে বলেছি সেখানেই টেস্টগুলো করান, অন্য কোথাও করলে হবে না’। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব টেস্ট থেকেও বসু সহ আরো অসাধু কর্মকর্তারা কমিশন খাচ্ছে।
বসুর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা যাচাই করতে আজ সকাল ৯ ঘটিকার সময় সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্র রায়পুরা উপজেলার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তার সকল কুকীর্তি বেরিয়ে আসে।

এদিকে এক রোগী শাহিনুর আক্তার অভিযোগ করে বলেন, এই অসাধু কর্মকর্তা বসু দীর্ঘ দিন যাবৎ এই ক্লিনিকে চাকুরী করে আসছেন। প্রতি রোগী বাবদ তাকে ৫০০ – ১০০০ টাকা দিতে হচ্ছে। টাকা না দিলে আমরা কোন সুযোগ সুবিধা পাই না। ফলে বাধ্য হয়ে বসুকে টাকা পয়সা দিতে হয়। এমনকি মাঝে মধ্যে সে নিজেও কাটা ছেড়ার কাজ করে। তাছাড়া সে নিজেকে ভালো চিকিৎসক হিসেবে দাবী করে।

এ বিষয়ে বসুর নিকট জানতে চাইলে তিনি দ্রæত ইমার্জেন্সী থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এই অসাধু কর্মকর্তা বসু এবং উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের অনিয়মের বিষয়ে আগামী ৭ পর্বে চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হবে।
রায়পুরা উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খান নূর উদ্দিন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অফিসে অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়মের বিষয়ে কোন জানা যায় নি। তার ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।

এ সত্যতা জানতে চাইলে একই হাসপাতালের কর্মকর্তা আতিক মিয়া সংবাদকর্মীদেরকে জানান, স্যার এখনো অফিসে আসে নাই। অনিয়মের বিষয়ে স্যার সবকিছু জানে। আমরা এই বিষয়ে কোন কিছু বলতে পারব না।