নরসিংদী উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

নরসিংদী রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লাইলা কানিজ (লাকী) সংবাদ কর্মীকে বলেন, কে বা কারা আমার বক্তব্য কে কেটে অল্প কিছু বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য অপপ্রচার করেছে। যা মূল বক্তব্যের সাথে কোন মিল নেই। গত ২২ মে রায়পুরা উপজেলায় ভুমি সেবা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে উক্ত অনুষ্ঠানে আমি বক্তব্য দেই যে অনেক সংবাদ কর্মী ও এডভোকেট এর মাধ্যমে অল্প টাকায় খুব সহজেই বিচার পাওয়া যায়।

অথচ আমার কিছু ভিডিও কেটে ও এডিট করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের স্বার্থ হাসিল করতে বক্তব্যটির অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার মূল বক্তব্য ছিলো যে অনেক সংবাদ কর্মী ও এডভোকেট এর মাধ্যমে অল্প টাকায় খুব সহজেই বিচার পাওয়া যায় ও বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী রোল মডেল হিসেবে উন্নত হয়েছে ভুমি অফিস গুলো। অথচ আমার সম্মানহানি করতে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল।

এই দিকে মঙ্গলবার (২৩ মে) সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্র কে মোবাইল ফোনে উপজেলা চেয়ারম্যান লাইলা কানিজ (লাকী) জানান, বাংলাদেশে সকল সাংবাদিকদেরকে খুবই শ্রদ্ধা করি অথচ সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমার যে সু-সম্পর্ক রয়েছে তা নষ্ট করতে এটি একটি অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কখনই সাংবাদিকদের সম্মানহানি করি না। তারা সব সময় সত্য সংবাদ প্রকাশ করে। তারাই দেশে বস্তুনিষ্ট সংবাদকর্মী তাদের কারনে আমরা উপজেলায় বসে বিভিন্ন ঘটনা ঘঠলে জানতে পারি।
অথচ একটা কুচিক্রী মহল আমার বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি তার তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এইদিকে রায়পুরা উপজেলার বাসিন্দা মোঃ শাহিন মিয়া সংবাদকর্মীকে জানান, লাইলা কানিজ লাকি উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই বিগত সময়ে করোনা কালিন সংবাদকর্মীসহ অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার এত বছর পার হলো আজ পর্যন্ত কোন উপজেলার চেয়ারম্যান এত সহযোগিতা করেন নাই। তিনি যা করেছেন প্রকৃত পক্ষে ভালো মানুষের বদনাম বেশি।

স্থানীয় এক সাংবাদিক সংবাদকর্মী রুদ্রকে বলেন, এই রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান করোনা কালিন অসহায় সাংবাদিকদের পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি যা করেছেন ইতিপূর্বে কোন উপজেলার চেয়ারম্যান করেননি। অথচ আমাদেরই কিছু অতি উৎসাহী সংবাদকর্মীরা নিজে ফেসবুক পেইজে মূল বক্তব্য না দেখেই এডিট করা বক্তব্যটি ডাউনলোড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। প্রকৃত পক্ষে সংবাদকর্মীরা মূল ভিডিও না দেখে ছড়ানোটা ঠিক হয়নি।

রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবজাল সংবাদকর্মী রুদ্রকে বলেন, প্রকৃত পক্ষে আমি এই বক্তব্যটি শুনি নাই অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিভাবে ছড়ালো সেটাও আমি জানি না।

লাইলা কানিজ লাকী তার বক্তব্যে সরকারের উনয়নমুলক কাজ গুলো তুলে ধরেছেন তার বক্তব্যে। অথচ পুরো ভিডিওটি প্রকাশ না করে তা আংশিক পরিমান বক্তব্য প্রকাশ করে যা সত্য না বলে আমি মনে করি। এই বিষয় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
এই দিকে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে প্রকৃতপক্ষে সত্য যাচাই না করে সম্মানিত ব্যক্তিদের কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন কিছু লেখা বা প্রকাশ করা ঠিক না।

অথচ কিছু সংবাদ কর্মীদের অতি উৎসাহিতের কারনে আজকে অপরাধের সংখা বাড়ছে। যার কারনে প্রকৃত সংবাদকর্মীদের সুনাম নষ্ঠ হচ্ছে। তাই সত্যতা জেনে ও যাচাই করে সত্যটা লেখা মন্তব্য করা উচিত ।