নাঈমের অবস্থান জানতে সাফাত-সাদমানকে জিজ্ঞাসাবাদ

রাজধানীর বনানীতে একটি আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ মামলার অপর আসামি মোহাম্মদ হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ, ড্রাইভার বেলাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদের অবস্থান জানতে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে তাদের ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিবির সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি), ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সাফাত এবং সাদমানকে ধর্ষণের রাতের বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কথিত নাঈম আশরাফ, ড্রাইভার বেলাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদের অবস্থান ও সেই রাতে তাদের ভূমিকা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুপুরে আদালতে তুলে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাইতে পারে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) উপ-কমিশনার(ডিসি) ফরিদা ইয়াসমিন শুক্রবার সকালে জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত ধর্ষককে সিলেট থেকে ঢাকায় আনা হয় রাতে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্ত্বাবধানে তাদের দুজনকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাবাসাদ করা হচ্ছে তাদের।

প্রসঙ্গত, বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ ও আরেক আসামি সাদমান সাকিফকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেটে গ্রেফতার করা হয়। সাফাত ও সাদমান সিলেটে আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন।

সাফাত (২৬) আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে এবং সাদমান (২৪) পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী। ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আসামিরা।