নীলফামারীর চিলাহাটিতে কাজ না করায় এতিম ছাত্রদের মারপিট!

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি’র ইয়ার উদ্দিন শিশু সদন এতিমখানায় ঝাড়ু না দেয়ায় ও বাজার থেকে ফিরে আসতে সময় লাগায় কমিটির সদস্য নমিরুল ইসলামের প্রহরে তিন এতিম ছাত্র আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা আহত অবস্থায় এতিমখানার নবম শ্রেণীর ছাত্র নাইমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেছেন।
অপর দুই এতিম অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র আরমান আলী নিশান ও ৫ম শ্রেনীর ছাত্র হাচান আলীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এতিমখানায় রেখেছে।

অসহায় এতিমদের উপর নির্যাতনের ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা চলছে।

ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ফাজিল মাদ্রাসার ইয়ার উদ্দিন এতিমখানায় এ ঘটনাটি ঘটে।

নির্যাতনের শিকার আরমান বলেন, মাদ্রাসায় ঝাড়ু দেওয়া নিয়ে নমিরুল আমাকে মারধর করে। এসময় হাচান বাজার থেকে ফিরে আসলে তাকেও নমিরুল চাচা মারে। নাইম ভাই দৌড়ে এসে প্রতিবাদ করলে চাচার মারপিটে সে মাটিতে পড়ে যায়।

তিনি আরো জানান, এতিমখানার ছাত্রদের চিৎকারে মতিয়ার চাচাসহ আশপাশের লোকজন ছুটে এসে নাইম ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ইয়ার উদ্দিন শিশু সদন এতিমখানার ম্যনেজিং কমিটির সদস্য নমিরুল ইসলাম বলেন, আমাকে হেও করার জন্য মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

চিলাহাটি ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নমিরুল একটু মারপিট করেছে। তবে সামান্য ঘটনাটিকে বেশী করে প্রচার করা হচ্ছে।

এতিমখানার ছাত্ররা বলেন, প্রায় সময় নমিরুল চাচার সারের দোকানে চা দেওয়া, দোকান পরিস্কার করা, তার বাড়িতে বাজার খরচ দিয়ে আসা নিয়ে তিনি মারপিট করে থাকেন।