পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দায়িত্বে অটল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক

সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক যেকোন দায়িত্বকে নিজের মনে করে প্রতিনিয়ত পালন করে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলার সাত ইউনিয়নের মধ্যে বুড়াবুড়ি নামক ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কালদাসপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ধান খেত পরিদর্শনে তাকে লক্ষ্য করা গেছেন। তিনি আমন ধানের মালিক জব্বারকে তার ধানের বিভিন্ন রোগ (ব্লাস্ট রোগ, বাদামি দাগ রোগ, খোল পচা রোগ, খোলপোড়া রোগ, গোড়া পচা ও বাকানি রোগ, টুংরো রোগ, উফরা রোগ) সংক্রান্ত আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে পরামর্শ দিচ্ছেন। একই দিনে তিনি বুড়াবুড়ি বাজারের মেসার্স রুম্পা এন্টারপ্রাইজ নামক সার ডিলারের আগত এমওপি সার গাড়ি থেকে নামানোসহ সবকিছু ঠিকঠাক আছেন কিনা, বুঝিয়ে নিতে দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক যেকোন কৃষকের সমস্যায় খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত মাঠে যায়। কৃষকদের সমস্যা জনিত ফসলী স্বশরীরে দেখে সঠিক পরামর্শ দিয়ে আসছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই কৃষকরা আরোও বলেন, তিনি আসার পর থেকে তাঁরা কিছু সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।

উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কালদাসপাড়া গ্রামের মফিজুল হক বলেন, ‘মোর ধানখানের পাতালা লাল হয়খেনে পোচকোটে পড়ে যাছে, এইডা কিভাবে সারাযাবে ধানদেখিবা অসা স্যারক জিজ্ঞাসা কইসনু, স্যার ধানখান দেখার পর মোক ডারসবান দিবা কহিসে।’ এরকম অসংখ্য কৃষকদের মুখে প্রশংসায় ভাসছেন এই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। জানা যায়, তিনি তার ন্যায়-নীতি বজায় রেখে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি গত ২০২০ সালের মার্চ মাসের ১তারিখ তেঁতুলিয়া উপজেলায় যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। তিনি তেঁতুলিয়ায় যোগদানে প্রথমেই উপজেলা সদর ইউনিয়নে ন্যায় নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাকে বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে দায়িত্ব দেয়া হলে ন্যায়-নীতি বজায় রেখে দায়িত্ব পালনে অটল আছেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার তাকে মাসে মাসে টাকা দেয়, বসে থাকার জন্য নয়, কৃষক যেন তাঁর দ্বারা কিছুটা উপকৃত হতে পারে সেই জন্যই।’ তিনি এই বাক্যকে বুকে ধরে রেখে কৃষকদের যে কোনো সমস্যায় নিখুঁত ভূমিকা পালন করছেন।