পটুয়াখালির কলাপাড়ায় ৭ পা ও ২ মাথা ওয়ালা গরুর বাছুর দেখতে কৌতুহলী মানুষের ভিড়

বেশ কদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন গোয়ালে নতুন মেহমানের আগমন ঘটবে বলে। তাই খুবই উৎফুল্ল ছিল পুরো কৃষক পরিবার। তবে গাভীনটি বাচ্চা প্রসবের পর চক্ষু চরকগাছ হয় সকলের। কে জানতো ৭ পা আর দুই মাথাসহ ২ মাথা ওয়ালা একটি পুরুষ বাছুরের জন্ম হবে। যার চারটি চোখও রয়েছে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক মিনিটের মধ্যে বাড়িতে ভিড় করবে শত শত মানুষ।

কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির ফতেপুর গ্রামের কৃষক সোহেল মৃধা একজন প্রান্তিক কৃষক। ক্ষেত খামারের পাশাপাশি একটি গরুর খামারও রয়েছে তার। গোয়ালে মোট ১৩ টি গরুর মধ্যে একটি গাভীন গরু বাচ্চা প্রসবের অপেক্ষা করছিল তার পরিবার। এনিয়ে উচ্ছাসিত ছিলেন তিনি নিজেও। কিন্তু শনিবার সকালে গাভীনটি বাচ্চা প্রসব করলে বিমূঢ় হয়ে পড়েন তিনি। মূহুর্তেই চোখ কপালে ওঠে তার। স্বাভাবিক বাছুরের চেয়ে আজব আকৃতি এবং একাধিক পা নিয়ে জন্ম হয় একটি পুরুষ বাছুরের। আর এই খবর লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়িতে বাছুরটি এক নজর দেখতে ছুটে আসেন কৌতুহলী মানুষ। এসব মানুষের নানান প্রশ্ন থাকলেও কোন উত্তর খুঁজে পাননি তিনি। স্থানীয় নজরুল মল্লিক জানান, সকালে গোটা গ্রামে খবর ছড়িয়ে পরলে ৭ পা এবং দুই মাথার বাছুর দেখতে ওই বাড়িতে মানুষের ভিড় জমে। আজব এমন খবর পেয়ে আমিও বাছুরটি দেখতে গিয়েছিলাম।

তবে গরুর মালিক সোহেল মৃধা জানান, অনেক চেষ্টা করেও বাছুরটির শেষ রক্ষা করতে পারেননি। প্রায় ৪ ঘন্টা পর মারা যায় বাছুরটি। কৃষক সোহেলের মা আকলিমা বেগম জানান, সব কিছুই উপরওয়ালার হাতে। বাচ্চাটি বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করেও পারিনি। পরে যতœ করে মাটি চাপা দিয়েছি।

কলাপাড়া উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা গাজী শাহ আলম জানান, কনজেনিক্যাল ডিফেক্ট এর কারনে এসব গরুর বাছুর জন্ম নিতে পারে। আমরা ওই কৃষকের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে দেখছি।