পবিত্র শব-ই-মেরাজ

পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত রাতে পালিত হবে।

সোমবার বাদ মাগরিব ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মুমিন হাসানের সভাপতিত্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

যে রাতে নবী মুহাম্মদ সা: ঐশ্বরিক উপায়ে উর্ধ্বাকাশে আরোহন করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন সেই রাতই হলো লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত।

শব-ই-মেরাজ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব গুলোর মধ্যে অন্যতম। ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী মুহাম্মদ সা: নবুওয়াতের দশম বৎসরে রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখান থেকে তিনি নবীদের জামাতে ইমামতি করেন। অত:পর তিনি বোরাকে আসীন হয়ে উর্ধ্বালোকে গমন করেন। তিনি সিদরাতুল মুনতাহায় হয়ে আরশ মোবারকে আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার আগ পযর্ন্ত জিবরাঈল ফেরেস্তা তার সফর সঙ্গী ছিলেন।

পবিত্র কুরআনে সুরা বনি ইসরাইলে ০১নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন,

‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা (আল্লাহ) তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে (হযরত মুহাম্মদ সা:) রাত্রি বেলা ভ্রমন করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম (মক্কা মুকাররামাহ) থেকে মসজিদে আকসা (বাইতুল মুকাদ্দাস) পযর্ন্ত, যার চতুর্দিকে আমি (আল্লাহ) পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাঁকে (রাসূল সা:) কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ) পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল’।

এ দিনটি মুসলমানদের কাছে বিশেষ মর্যাদার। মুসলমানেরা এ দিনটি বেশি বেশি নফল ইবাদতের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত করেন। কেউ কেউ নফল রোখাও রাখেন।