যেখানে ১০ টাকায় মিলছে ইফতারসহ ব্যাগভর্তি বাজার

রকমারি ইফতার পণ্য স্টলে স্টলে সাজানো। সেই স্টলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা নিম্নআয়ের নারী-পুরুষ সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন ইফতারসামগ্রীর জন্য। আর সেই স্টল থেকে শত শত নারী-পুরুষ তাদের ইফতার পণ্য কিনে নিচ্ছেন মাত্র ১০ টাকায়।

যেখানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ইফতার পণ্য সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে, সেখানে মাত্র ১০ টাকায় আট প্রকারের ইফতার পণ্য কিনতে পেরে স্বাদ পূরণের জায়গা খুঁজে পেলেন।

এই রমজানে পণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস পরিস্থিতি থেকে যেন কিছুটা হলেও হাফ ছেড়ে বাঁচেন ওই সব সাধারণ মানুষ।

রোববার সকালে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া মাঠে ১০ টাকার ইফতার বাজারে এমনই চিত্র মিলেছে। আর এ ইফতার বাজারের আয়োজন করে ‘বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশন’।

এ দিন ৩০০ নারী-পুরুষের মাঝে এ ইফতার পণ্য তুলে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি।

এদিকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ইফতার বাজারে নারী-পুরুষের ঢল নামে। খবর পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন তারা।

এর পর সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ইফতার বাজারের স্টল থেকে স্টলে ঘুরে কেনেন পণ্য। মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে তারা কিনেছেন এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিড়া, এক কেজি চিনি, এক কেজি বুট, এক কেজি ডাল, এক কেজি মুড়ি, এক কেজি পেঁয়াজ ও আধা কেজি খেজুর।

ইফতার পণ্য কিনতে পেরে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন রহিমা খাতুন (৬৫) নামে এক নারী। কামারখাড়া গ্রামের এ নারী বলেন, ‘তেল, পেঁয়াজ, চিনি, মুড়িসহ কত কিছু পাইলাম ১০ টাকায়। বাজারে কিনতে গেলে কি এ টাকায় এসব পাইতাম! আল্লাহ ওগো ভালো রাখুক।’

একই গ্রামের সালমা আক্তার (৩৮) বলেন, ‘বাজারে জিনিসপত্রের অনেক দাম। রোজা আসামাত্র সেই দাম আরও বাড়ছে। ১০ টাকায় আট পদের ইফতার কিনতে পেরে ভালো লাগছে।’

সামছু মিয়া বলেন, ১০ টাকায় যেসব জিনিসপত্র কিনতে পেরেছি, তা বাজারে কিনতে গেলে দাম পড়বে হাজার টাকা। যারা কম টাকায় ইফতার পণ্য দিল, তাদের দোয়া করি।

আয়োজক সংগঠন বিক্রমপুর মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক হীরা বলেন, আল্লাহ যতদিন সামর্থ্য দেবেন, ততদিন এ আয়োজন করে যাব।