পরমাণু হামলার সংকেতে কাঁপল যুক্তরাষ্ট্র!

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হামলার হুমকির মুখে সতর্ক সংকেতের পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঠান্ডাযুদ্ধের (কোল্ডওয়ার) পর এই প্রথম দেশটি হাওয়াই রাজ্যে এ সতর্ক সংকেতের পরীক্ষা চালালো। খবর: বিবিসি। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

চলতি বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হওয়ার পর উত্তর কোরিয়া সিরিজ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত সেপ্টেম্বরেই ৬টি পরমাণু ক্ষেণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।

এছাড়া উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন শিগগিরই হাওয়াই রাজ্যে পরমাণু হামলার হুমকি দেন। তার এই হুমকির মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন এমন পদক্ষেপ নিল।

প্যাসিফিক অঞ্চলের রাজ্য হাওয়াই বিগত এক মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সুনামির সতর্কতা হিসেবে বেশ কয়েকবার সাইরেন বাজিয়েছে।

তবে পরমাণু সতর্ক সংকেতের সাইরেন একটু ব্যতিক্রম। পরমাণু হামলা হলে বা এ জাতীয় কোনো পূর্বাভাস পেলে তা হাওয়াই প্রকট প্রকম্পিত সাইরেন বাজিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেবে।

এই সাইরেন বাজার অর্থ রাজ্যের অধিবাসী এবং পর্যটকদের কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনা ছাড়া ঘরের ভিতরে অবস্থান করতে হবে।

সর্বশেষ ১৯৮০ সালে ঠান্ডাযুদ্ধের শেষ বছরে যুক্তরাষ্ট্র এই পরমাণু হামলার সতর্ক সংকেত পরীক্ষা করেছিল। এরপর গতকাল শুক্রবার ভোরে আবারও একই সংকেতে কেঁপে ওঠে হাওয়াই।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানুষকে সচেতন করার অংশ হিসেবে এখন থেকে প্রত্যেক মাসের প্রথম কর্মদিবসে এই সাইরেন বাজানো হবে।

হাওয়াইয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান ভেরন মিয়াগি বলেন, ‘জনগণের পক্ষে পরমাণু আক্রমণের সতর্ক সংকেত বোঝা সত্যিই জটিল। এজন্য সাধারণ দুর্যোগ এবং এই সংকেতের মধ্যকার পার্থক্য বোঝাতে সাইরেন বাজানো হচ্ছে।’

উত্তর কোরিয়া থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে তা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই হাওয়াই রাজ্যে গিয়ে আঘাত হানবে। এই রাজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া-প্যাসিফিক সেনা সদরদফতর অবস্থিত।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া একটি নতুন ধরনের ইন্টারকন্টিনাল ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এরপর দেশটির নেতা ঘোষণা করেন, তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো প্রান্তে আঘাত হানতে সক্ষম।