‘পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নে আইএসআই’র সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিএনপি’

পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সঙ্গে বিএনপি বারবার যোগাযোগ করছে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ও হীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় আইএসআই। সম্প্রতি পাকিস্তানি এক গোয়েন্দার সঙ্গে বিএনপি’র সিনিয়র নেতার যোগাযোগের খবরে উদ্বেগ জানিয়ে, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

স্বাধীনতাবিরোধী নানা তৎপরতায় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সম্পৃক্ততা মিলেছে বহুবারই। সম্প্রতি বিএনপি জামায়াত নেতাদের সঙ্গে সংস্থাটির এক সদস্যের যোগাযোগের খবরে বিভিন্ন মহলে বইছে সমালোচনার ঝড়। তাদের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমানসহ অন্যান্য নেতাদের বৈঠক নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে। সর্বশেষ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। যেখানে, চীনের সহযোগিতা পেতে সংস্থাটির হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।

এমন পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের প্রতি বিএনপির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিরাপত্তা ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা। জাতীয় নির্বাচন যখন দোরগোড়ায়, তখন আইএসআই এর সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক ও ফোনালাপকে দুরভিসন্ধিমূলক ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন তারা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘আইএসআই’র যে অপতৎপরতা বাংলাদেশকে ঘিরে এবং সেখানে বিএনপি জামায়াতের সংযোগ সেটা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্যে ভয়ানক হুমকি।’

রাজনীতি বিশ্লেষক ড আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির নেতা বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং সেই সংস্থাকে আহ্বান জানান সাহায্য করার জন্যে এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।

একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনো পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘বিএনপি এবং জামায়াত যে কর্মকাণ্ড করেছে তা যদি নিরপেক্ষ ভাবে মূল্যায়ন করেন তাহলে দেখবেন তারা পাকিস্তানি আইএসআই’র এজেন্ডা তারা বাস্তবায়ন করছে।’ রাজনীতি বিশ্লেষক ড আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন দল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য নিয়ে কোন ফায়দা লুটতে না পারে সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন আছে।’

২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্রসহ সব ষড়যন্ত্রের মূলে আইএসআইকে দায়ী কোরে, তাদের এদেশীয় সহযোগী বিএনপি-জামায়াতের অপচেষ্টা রুখে দিতে সরকারসহ প্রশাসনকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।