পাবনার গুয়াখড়া রেলস্টেশনটি কোন কাজে আসছে না

পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গায় গুয়াখড়া রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। জরাজীর্ণ বিল্ডিংয়ে ফাটল, যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অযত্ন, অবহেলায় ও জনবল সংকটে রয়েছে। প্রতিদিন এই স্টেশন হয়ে আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল সহ ২৬টি ট্রেন চলাচল করলেও এ স্টেশনে থামে মাত্র ১টি ট্রেন, বিক্রি হয় না ট্রেনের টিকিট।

এই স্টেশনের আশে পাশের প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে যাওয়া আসা করেন। এখানে কোন আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ নেই। শুধুমাত্র একটি লোকাল ট্রেন স্টোপেজ দেয়। এই স্টেশনে কোন প্লাটফর্ম নেই। প্লাটফর্ম না থাকায় যাত্রীদের চরম বিড়ম্বনায় পরতে হয়। বিশেষ করে একটু বয়স্ক মানুষ প্লাটফর্ম না থাকায় ট্রেনে নামতে উঠতে বেশ কষ্ট করতে হয়।

গুয়াখড়া গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা ইয়াছিন আলীসহ এলাকাবাসী বলেন, ঢাকা-রাজশাহী রেলওয়ে সড়কের গুয়াখড়া রেলওয়ে স্টেশনের লোকবল সংকটে প্রায় ২০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্টেশনটির কার্যক্রম। প্রতিদিন শত শত যাত্রী এই স্টেশন হয়ে ঢাকা- রাজশাহী সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন হলো এই স্টেশনে রেল কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারী নেই এবং এখানে কোন রেলের চাকুরীরত কর্মকর্তা না থাকায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে আছে স্টেশন। স্টেশনের অফিস বিল্ডিং নষ্ট ও ফাটল ধরেছে। বিল্ডিং ধসে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি এই স্টেশনটি সংস্করণ করে ২ থেকে ৩টি আন্তঃনগর ট্রেন স্টপেজের জন্য।

চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজহার আলী বলেন, স্টেশনটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার, এখানে কোন রেলের স্টাফ নেই, প্লাটফর্ম নেই। এই এলাকায় প্রচুর ট্রেনের যাত্রী রয়েছে, এছাড়াও এ এলাকা থেকে ঢাকা ও রাজশাহী প্রতিদিন প্রচুর মাছ ব্যবসায়ী মাছ বিক্রি করতে যাতায়াতে সমস্যা সহ জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গুয়াখড়া রেলস্টেশন পুনরায় চালুর জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত দেওয়া হয়েছে অনেকবার কিন্তু কোন কাজে আসছে না।

চাটমোহর রেল স্টেশন মাস্টার মোঃ মাসুম আলী খান এই প্রতিনিধিকে জানান, গুয়াখড়া স্টেশনটি বি-ক্লাশ সিস্টেম। ওই পথ দিয়ে চব্বিশ ঘন্টায় ২৬টি ট্রেন যাতায়াত করলেও স্টপেজ হয় মাত্র একটি ট্রেন। ঢাকা গামী একবার ও রাজশাহী গামী একবার। লোকবল সংকটের কারণে গুয়াখড়া স্টেশনের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি লোকবল নিয়োগ করে তাহলে এই স্টেশন ফের চালু হতে পারে।