পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঝুঁলে আছে ব্রিজের কাজ! জনদুর্ভোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় অর্থ সংকটে ব্রিজের নির্মান কাজ ঝুঁলে থাকায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কয়েক গ্রামের প্রায় হাজার হাজার মানুষ। মানিকখালী খালের ওপর টেন্ডারাধীন গার্ডার ব্রিজ নির্মান করতে জরাজীর্ণ আয়রণ ব্রিজ অপসারণ করে অর্থ সংকটে পড়ায় এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবির সর্দারের (জেভি) স্বত্ত্বাধীকারী আবু আহসান মিলু এবং মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ মোঃ কাজী জসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হতে মানিকখালী বাজার ভায়া সোনাখালী বাজার সড়কে মানিকখালী বাজার সংলগ্ন ৩৯.০০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মান কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে দুই পাড়ের শতাধিক গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছে।

নলী জয়নগর, তাফালবাড়িয়া, চড়কগাছিয়া, কচুবাড়িয়া, খেঁতাছিড়া, বাবুরহাট, বাদুরতলী, বুখইতলা, সাপলেজা, সোনাখালী, আমড়াগাছিয়া, মানিকখালী, কাঁকচিড়া, বাঁশতলা, শতকর, বটতলা, লেমুয়া, কাঁঠালতলী, জুগির উলা, বাঁশতলা হাইস্কুল, লেমুয়া কলেজ, নলী জয়নগর কাদেরিয়া মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন এলাকার পথচারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিজটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রিজটি নির্মানের জন্য ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা টেন্ডার হয়। নতুন ব্রিজের কাজ শুরু করতে দুই থানা এলাকার সীমানা খালের ওপর ঝুকিপূর্ণ আয়রন ব্রিজটি অপসারনে টানা হেঁচড়া শুরু হয়।মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টানাটানিতে ৬ মাস সময় অপচয় হয়। শেষ পর্যন্ত পাথরঘাটা কর্তৃপক্ষ পুরনো ব্রিজটি অপসারণ করলেও নতুন ব্রিজটি নির্মান ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় মঠবাড়িয়া কর্তৃপক্ষ।

একটি সূত্র জানায়, পিরোজপুর জেলার প্রভাবশালী একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটের শিকার পুরো জেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো। আর এ সিন্ডিকেটের দখলে এলজিইডি সেক্টরটি। মঠবাড়িয়ায় এলজিইডি মানেই কাজ ফেলে রাখা, কাজ ঝুঁলে থাকা অথবা ফান্ড নেই বলে জনগণের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা। অধিকাংশ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রভাবশালী ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির নিকট জিম্মি থাকায় উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

ঠিকাদার আবু আহসান মিলু জানান, ব্রিজটির দুই পাড়ের এবিউটমেন্টের কাজ চলমান আছে। তবে ডিজাইনে প্রিন্টজনিত ভুলের কারণে খালের মাঝখানের কাজ ধরতে বিলম্ব হচ্ছে। অজ্ঞাত কারনে প্রকল্পের কাজে ফান্ড না থাকার বিষয়টি রহস্যজনক।

উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ মোঃ কাজী জসিম জানান, করোনার প্রভাবে অর্থ সংকটের কারণে মানিকখালী সোনাখালী সংযোগ সড়কে এ ব্রিজটির কাজ ঝুঁলে আছে। তবে অর্থ সংকটের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন চিঠি নেই।