পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বেহালদশায় দক্ষিণ বকশির ঘটিচোরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১৬০ নং দক্ষিণ বকশির ঘটিচোরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থা এখন অনেকটা বেহালদশার মত। প্রধান শিক্ষিকার অবহেলা,বিভিন্ন অভিযোগ এবং জমিদাতাদের অনৈক্য এ বেহালদশার মূল কারন বলে জানা গেছে।

বিদ্যালয়টির নামে ৪৪ শতাংশ জমি থাকলেও দখলে আছে ২৪ শতাংশ। এ জমিতে বিদ্যালয়টির মূল ভবন এবং একটি টিনশেডের ঘর থাকলেও নেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মত কোন জায়গা। স্কুলের সামনে পা ফেললেই অন্য মানুষের জমি। ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা দিয়ে একটি টিনের ঘর তৈরি করা হলেও বারান্দার পরেই বিদ্যালয়ের জমি দাতাদের নিজস্ব জমি। স্কুল প্রাঙ্গনে ধান শুকানোর জন্য গোবরের লিপ দিয়ে দখল করে রেখেছে জমির মালিক। জমিদাতাদের সভাপতি হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকেই তৈরি করা হয়েছে এ কৃত্রিম সংকট। কেউ বলে সভাপতি হলেই সামনের জমি সব স্কুলের হয়ে যাবে। আর কেউ বলে সভাপতি না হতে পারলে জমির এ ঝামেলা থেকেই যাবে।

বিদ্যালয়ের জমি বুঝে পাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষিকার কোন চেষ্টা নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও প্রধান শিক্ষিকার দাবি- এসিল্যান্ড অফিসে এ নিয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগটি কোন অবস্থায় আছে তা জানেন না প্রধান শিক্ষিকা। অভিযোগের কোন কপিও সংরক্ষিত নেই বিদ্যালয়ে।

প্রধান শিক্ষিকা মোসাম্মৎ লাভলী বেগম এবং তার স্বামী সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিন আজাদ একই বিদ্যালয়ে চাকুরী করেন। সম্প্রতী অভ্যান্ত্যরীন বিষয় নিয়ে সহকারী শিক্ষিকা বৈশাখী রানীকে বাসায় গিয়ে হেনস্তা করেন প্রধান শিক্ষিকা। এ নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা শিক্ষা অফিসে তদন্ত রয়েছে।

বিদ্যালয়ের যেকোন অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো এবং সম্মান দেখানোর কথা থাকলেও তার কিছুই হয় না এখানে। ৫ জন শিক্ষকের ৫টি কাঠের চেয়ার বাদে বাকি ২ টি রয়েছে প্লাস্টিকের ডেকো চেয়ার।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির জন্যও নেই কোন ভাল চেয়ার। ক্যাচমেন্ট এলাকার শিক্ষার্থীদেরও যেতে দেখা যায় অন্য প্রাথিমক বিদ্যালয়ে।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাম্মৎ লাভলি বেগম জানান,ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।আর আমার বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এগুলো ভিত্তিহীন।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ গোলাম হায়দার জানান,প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসে যে অভিযোগ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।