মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় উজ্জীবিত নতুন প্রজন্মের যুদ্ধজয়!

কিশোর-চলচ্চিত্র ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ট্রেলার ও অফিসিয়াল পোস্টার রিলিজ

১৫ বছরের অনুসন্ধিৎসু রোমাঞ্চ প্রিয় কিশোর রায়ান। পরীক্ষা শেষ, হাতে অখণ্ড অবসর। তবে বাইরে ঘোরাঘুরি নয়, তার সময় কাটে ইন্টারনেটে। নেশা একটাই, বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি। একদিন এক ওয়েবসাইটে সে খুঁজে পায় এক মজার তথ্য।

বাংলাদেশে দক্ষিণালে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের মধ্যে এক গহীন দ্বীপে গবেষকরা নতুন এক প্রজাতির শামুক খুঁজে পেয়েছেন, যার খোলসের মধ্যে সিত রয়েছে ইউরেনিয়াম। রায়ানের মাথায় বুদ্ধি খেলে যায়! দেশে প্রচুর বিদ্যুৎ সংকট। অথচ সামান্য ইউরেনিয়াম ভেঙ্গেই তা থেকে বিপুল বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। ইউরেনিয়ামবাহী আশ্চর্য শামুকের সন্ধানে দুর্গম দ্বীপে গহীন জঙ্গলে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় রায়ান। ইউরেনিয়াম জোগাড় করে সরকারের সহায়তা নিয়ে নিজেরাই একটা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দাঁড় করিয়ে ফেলবে।

খবর দিলেই ছুটে আসে প্রাণের বন্ধু সানজিনাসহ দুঃসাহসী আরো ছয় কিশোর-কিশোরী। নতুন প্রজন্মের সাত ক্ষুদে যোদ্ধা একের পর এক বাধাবিপত্তি কাটিয়ে ছুটে যায় গহীন দ্বীপে আশ্চর্য শামুকের সন্ধানে। কিন্তু সহজে কি দেখা মেলে তার? বরং একের পর এক ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ এসে হাজির হয় তাদের সামনে; আর দুরন্ত সাহসে ভর দিয়ে আর নিখুঁত গাণিতিক বুদ্ধি খাটিয়ে সেগুলোর সমাধান করেই এগিয়ে চলে তারা। কিন্তু কি হবে শেষমেষ? রায়ান ও বন্ধুরা কি খুঁজে পাবে সেই আশ্চর্য শামুক? জোগাড় হবে কি দুর্লভ ইউরেনিয়াম?

রহস্য-রোমাঞ্চে জমজমাট সে গল্পটাই জানা যাবে আউয়াল রেজা নির্মিত ইস্পাহানি নিবেদিত ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ছবি থেকে। নির্মাণ কাজ শেষ; ১৬ ডিসেম্বর ছবিটির ট্রেইলার ও অফিসিয়াল পোস্টার রিলিজ হলো, আগামী ৩০ ডিসেম্বর, শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের শীর্ষ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি।

৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত হানার মধ্য দিয়ে দেশে যে সাংস্কৃতিক জড়তার শুরু, সে অন্ধকারের সুযোগে দেশে অশুভ মৌলবাদী অপশক্তির যে বেড়ে ওঠা, এ ছবি তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ নতুন প্রজন্মের দৃঢ় অবস্থানের ঘোষণা। ছবিটি ২০১৯-২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি অনুদান লাভ করে।

‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ছবিটি আমাদের আশপাশের কিশোর-কিশোরীর দারুণ বেড়ে ওঠার গল্প। নতুন প্রজন্মের বল্গাহীন আনন্দে টইটুম্বুর উচ্ছ¡ল উদ্দাম তারুণ্যের গল্প। তাদের ভেতরে গুপ্ত থাকা উদ্ভাবন আর আবিস্কারের তীব্র নেশার গল্প। দেশের এক প্রত্যন্ত অ ল থেকে জঙ্গিবাদ উৎখাতে তরুণ প্রজন্মের শক্ত অবস্থান নেয়ার গল্প। বয়ঃসন্ধির স্বাস্থ্যসচেতনতা ও মনোদৈহিক নানা প্রশ্নেরও সমাধান মিলবে এ ছবিতে।

ছবিটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন প্রতিভাবান নির্মাতা আউয়াল রেজা নিজেই। ছবিটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন টি ডাবলুু সৈনিক এবং সম্পাদনায় জুনায়েদ হালিম। সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় ফুয়াদ নাসের বাবু। ছবির প্রাণজুড়ানো গানগুলিতে কন্ঠ দিয়েছেন এলিটা করিম, টি ডাবলু সৈনিক, সুজন আরিফ ও আশরাফুল বারী রুমন।

মেঘ রোদ্দুর খেলা ছবির ফেসবুক পেজ লিংক: https://www.facebook.com/meghroddurkhelacinema এবং ইউটিউব লিংক: https://www.youtube.com/@meghroddurkhela

‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান অভিনেতা-অভিনেত্রীর পাশাপাশি আছেন নতুন প্রজন্মের অভিনয় শিল্পী টইটই হিলালী, অর্নিমা তাবাসসুম নিশা, রাফিদ স্বরণ রেজা, কিংবদন্তি চৌধুরী, নাফিস জাবীর, আনোয়ারুল রাজিত, জহুরাতুল তায়েবা অদিতা, মাহমুদা মাহা। এছাড়া আছেন প্রাণ রায়, মাজনুন মিজান, নাজনীন হাসান চুমকি, সাহানা রহমান সুমি, দীপু মাহমুদ, মিলি বাসার, মিলি মুন্সি, রিয়াদ মাহমুদ, সুমন মল্লিক, এয়াকুব মজুমদার সবুজ, সাবুক্তগীন শুভ, অনিশা হাসনাত, সবুর বাদশা এবং আউয়াল রেজা নিজেই।