পিরোজপুরে আ.লীগ-জাতীয় পার্টির সংঘর্ষ, আটক ৪

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চারটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পৌর শহরের শহীদ মিনার থেকে উপজেলা সড়কে এ ঘটনার সময় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জাতীয় পার্টির (জেপি) ভাণ্ডারিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম উজ্জল, পৌর জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব আহসানুল কিবরিয়া ফরিদ মল্লিক, উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ সরদার ও পৌর ছাত্র সমাজের আহবায়ক মাহাবুব শরীফ শুভকে আটক করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে পিরোজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের সমর্থনে এবং জামায়াত শিবিরের হরতাল-আবরোধ নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল বের করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা সভা শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। চারটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

জেপির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাহিবুল হোসেন মাহিম বলেন, ‘আমরা জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার মঞ্জুর মনোনয়নপত্র দাখিল ও দোয়া মোনাজাতের জন্য প্রস্তুতিমূলক সভা করছিলাম।

সভা শেষে দলীয় অফিস থেকে বের হওয়ার সময় আমাদের নেতা কর্মীকে পুলিশ ঘিরে রাখে। এ সময় আমাদের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। কে বা কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা আমারা জানি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লিটন পেশকার বলেন, ‘জাতীয় পার্টির কর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামালা চালালে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। জেপির সমর্থকরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।’

পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার সফিউর রহমান বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হামলা ও ভাংচুরের একাধিক মামলা থাকায় তাদের আটক করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় দক্ষিণ শিয়ালকাঠী মেডিক্যাল মোড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা হয়।আটককৃত জাতীয় পার্টির নেতারা সবাই ওই মামলার অভিযুক্ত আসামি।