পি কে হালদারকে দেশে ফেরাতে হাইকোর্টের শুনানি ১২ জুন

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট মামলার পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) ভারতে গ্রেফতারের পর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত রুলের শুনানির জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর এ বিষয়ে স্বপ্রণোদিত রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ। সেটির বিষয়ে মঙ্গলবার (১৭ মে) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে আদালত রুলের শুনানির জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন।

তার আগে গত সোমবার (১৬ মে) ভারতে পি কে হালদার গ্রেফতার হওয়ার তথ্য আদালতকে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খানও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আদালত বলেন, ‘আমাদের মেসেজ ক্লিয়ার। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যে–ই হোক।’

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পি কে হালদার এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা গত শনিবার (১৪ মে) পি কে হালদারসহ মোট ৬ জনকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অর্থ পাচারে জড়িত বাংলাদেশের একাধিক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছেন তিনি। এ সময় প্রশাসন ১০টি বিলাসবহুল বাড়ি সিলগালা ও বিপুল সম্পদের দলিল ও নথিপত্র উদ্ধার করেছে।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশকিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থ পাচার করেছিলেন তিনি। তাকে গ্রেফতার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।