প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে :বেগম রাশেদা সুলতানা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেনাবাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হতে পারে। তবে সেনা মোতায়েন হবে কি না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে নির্বাচন কমিশনাররা বলছেন, সে সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেনাবাহিনী নিয়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। যদি প্রয়োজন মনে করি, চাইলে সরকার আমাদের দেবে। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।’

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, নির্বাচনের আগে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আগের জাতীয় নির্বাচনগুলোতে যেহেতু সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল, সেহেতু এবারের নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ, বিজিবি, রেব, আনসার ও কোস্ট গার্ডের জন্য গত ২০ নভেম্বর বাজেট নির্ধারণ হলেও সেনাবাহিনীর জন্য এখনো তা হয়নি। এ বিষয়ে গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিলে কতদিনের জন্য কতজন সদস্য নিয়োগ করা হবে সে অনুসারে বাজেট বরাদ্দ হবে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের সাত দিন আগে থেকে পরের দুই দিনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এছাড়া মোতায়েনের এক সপ্তাহ আগে ঐ বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনি এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনি পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।