প্রায় ৬ ঘণ্টা পর সিবিআই অফিস থেকে বের হলেন মমতা

প্রায় ৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে কাটিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন তিনি। ততক্ষণে গ্রেফতার তৃণমূলের মন্ত্রীদের আদালতে জামিনের শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে।

আইনের ওপরে ভরসা রয়েছে তাঁর। তাই গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালতই।

সোমবার প্রায় ৬ ঘণ্টা সিবিআই দফতরে ধরনা দিয়ে বেরিয়ে এমনটাই জানালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

খবরে বলা হয়, সোমবার সকালে ফিরহাদ-সুব্রতদের গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসে নিয়ে যায় সিবিআই। বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ সেখানে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় সিবিআইয়ের ডিআইজির দফতরের সামনে অবস্থানে বসেন তিনি। তার দাবি ছিল, বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরহাদ-সুব্রতদের। তাই গ্রেফতার করতে হবে তাকেও।

প্রায় ৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে কাটিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন তিনি। ততক্ষণে ধৃত তৃণমূলের মন্ত্রীদের আদালতে জামিনের শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, ‘যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদালত নেবে।’

নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সোজা নবান্নে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজাম প্যালেস থেকে বেরোনোর সময় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়ায়। গাড়িতে বসেই দলীয় কর্মীদের হাত নেড়ে আশ্বস্ত করেন তিনি।

বিনা নোটিশে তৃণমূল কংগ্রেসর দুই মন্ত্রীসহ ৪জনকে গ্রেফতারের খবরে সিবিআই অফিসে ছুটে আসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসময় প্রায় ছ’ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিট নাগাদ তিনি বেরিয়ে যান। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, সোমবার সকালে নবান্নে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মমতা। তবে বাড়ি থেকে সোজা চলে আসেন নিজাম প্যালেসে। সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে নিজাম প্যালেসে এসেই সোজা সিবিআইয়ের ১৫ তলার অফিসে চলে যান তিনি। নিচে লিফটের কাছে দাঁড়িয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা।

তৃণমূলের নেতা তথা আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত জানান, ‘বেআইনিভাবে’ গ্রেফতারের প্রতিবাদে তাকেও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তুলেছেন মমতা। নাহলে তিনি সিবিআই দফতর থেকে বেরোবেন না। তিনি বলেন, ‘মমতা জানিয়েছেন, বেআইনিভাবে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকেও গ্রেফতার করতে হবে।’

‘বেআইনিভাবে’ গ্রেফতারের প্রতিবাদে তাকেও গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তুলেন মমতা। নাহলে তিনি সিবিআই দফতর থেকে বেরোবেন না।

এ নিয়ে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরের বাইরে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করে। দলের শীর্ষ নেতাদের হয়রানিমূলক গ্রেফতারের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে নিজাম প্যালেস এলাকা। এক পর্যায়ে তৃণমূল সমর্থকরা দপ্তর লক্ষ করে ইটবৃষ্টি বর্ষণ করে। ওই সময় সিবিআইয়ের দফতরের ভেতরে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ মামলায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এ ঘটনায় ফুঁসে উঠে তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, প্রতিহিংসার কারণে শুধুমাত্র তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কারণ অভিযোগ তালিকায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় থাকলেও তাদের গ্রেফতার করা হয়নি।