প্রেমিকার মরদেহে মেকআপ দিতো আফতাব

ভারতের দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার কিছুদিন আগেই প্রেমিকের হাতে খুন হয়। আর সেই খুনেরও নৃশংসতা একরকমের নজিরবিহীনই। শ্রদ্ধার প্রেমিক আফতাবের আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল এই হত্যাকাণ্ডের।

জানা যায়, সে অনুযায়ী খুনের পর তা ধামাচাপা দিতে পরিশ্রমও কম করেনি। মরদেহ থেকে যেন দুর্গন্ধ না ছড়ায়, সে জন্য অনলাইনে কিনেছিল রাসায়নিক। মরদেহের ৩৫ টুকরোয় যেন পচন না ধরে, তার জন্য কিনে নেয় বড় ফ্রিজও। একের পর এক এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের আফতাব জানিয়েছে, ফ্রিজ থাকা অবস্থাতেই নিয়মিত মেকআপ লাগাত সে শ্রদ্ধার মুখে। এখানেই শেষ নয়, বারবার ফ্রিজের দরজা খুলে দেখত ও তার সঙ্গে কথা বলত সে।

এ ছাড়া দিল্লিতে যে ফ্ল্যাটে আফতার ও শ্রদ্ধা থাকত, সেখানেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে রুম ফ্রেশনারের খালি বোতল পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর ঘর পরিষ্কার করতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারও ব্যবহার করেছিল আফতাব। শ্রদ্ধার মরদেহ ৩৫ টুকরো করতে ছোট করাত ব্যবহার করেছিল আফতাব। তবে সেটি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে ফ্রিজ বা ঘরে কোথাও এক ফোঁটা রক্তও পায়নি পুলিশ। এ থেকে তাদের ধরাণা, রক্ত মোছার জন্য সম্ভবত কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল। সবকিছু দেখে দিল্লি পুলিশের একাংশের ধারণা, আফতাবের মস্তিষ্ক বিকৃত। কিন্তু আরেক অংশ মনে করছে, নিজেকে বিকৃত মস্তিষ্কের প্রমাণ করে অপরাধের সাজা থেকে বাঁচতে চাইছে সে।
পুলিশ ধারণা করছে, মার্কিন ক্রাইম শো ডেক্সটার দেখে আফতাব এ হত্যাকাণ্ডের অনুপ্রেরণা পেয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি