ফরিদপুরে এবার বৃহত্তর বাস ধর্মঘট, দুর্ভোগে পথচারীরা

শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিভাগীয় গণসমাবেশ। তার আগেই বৃহত্তর ফরিদপুরে শুরু হয়েছে ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট। জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ মহাসড়কে তিন চাকার যান বন্ধের দাবিতে এ ধর্মঘট ডাক দিয়েছে।

তবে, বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ফরিদপুরে তাদের বিভাগীয় গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের যাওয়া ঠেকাতে সরকার ও প্রশাসনের ইন্ধনে এই বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে ফরিদপুরে বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ফরিদপুর জেলা বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ৭ নভেম্বর ফরিদপুর ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়ে মহাসড়কে সব অবৈধ তিন চাকার যান চলাচল বন্ধের বিষয়ে দাবি জানায় তারা।

বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির বলেন, তাদের দাবি নিয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

তবে ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বাস বন্ধের একটাই উদ্দেশ্য, বিএনপির গণসমাবেশে বাধা দেয়া। কিন্তু এতে বিএনপির গণসমাবেশে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, মানুষ বাধা পেলেই বেশি বের হয়।

ধর্মঘটের দিনের সকাল থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাসস্ট্যান্ড এবং শহরের ইমামুদ্দিন স্কয়ার এলাকা ঘুরে যাত্রীদের যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

নতুন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় বাসগুলো টার্মিনালে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আর পরিবহন শ্রমিকরা কেরাম-লুডু খেলছেন। শ্রমিকদের সোজা কথা, তাদের মালিকরা বলছেন বাস বন্ধ, তাই তারাও কাজকর্ম বন্ধ রেখে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

সকাল আটটা থেকে সাড়ে নটা পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এবং ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা ঘুরেও দেখা গেছে যাত্রীরা দীর্ঘ সময় ধরেই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকেই ব্যস্ত ছিলেন বিকল্প খুঁজতে।

ফরিদপুরের মতো শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে রাজবাড়ীতেও শুরু হয়েছে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট। বন্ধ সব রুটের যান চলাচল। একই দাবিতে সকাল থেকে মাদারীপুর- ফরিদপুর রুটের বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

তবে, ফরিদপুরের সাথে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার সাথে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।