ফরিদপুর সুগার মিল পরিদর্শন করলেন শিল্প সচিব

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা আজ ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে অবস্থিত ফরিদপুর সুগার মিল পরিদর্শন করেছেন। এসময় চিনিকলটি লাভজনক করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

শিল্প সচিব প্যাকেজিং প্লান্ট স্হাপন, রিফাইনারি প্লান্ট স্হাপন এবং চিনির উপজাত হিসেবে ভিনেগার তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, প্যাকেজিং প্লান্টের জন্য পলিথিনের বিকল্প পাট থেকে তৈরি সোনালী ব্যাগ ব্যবহার করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, পুরাতন স্থাপনা ও মেশিনারিজ প্রতিস্থাপনের জন্য আমরা চিনিকলটি বিএমআরই করব। প্রয়োজন হলে বেসরকারী উদ্যোক্তাদের সাথে যৌথভাবে চিনিকলটি আধুনিকীকরণ করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা হবে।

তিনি চিনিকলটি দীর্ঘ সময় চলার জন্য আখের জমি ও আখ উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেন। এজন্য উন্নতজাতের বীজ ব্যবহার করাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

এসময় পাট থেকে পলিথিনের বিকল্প ‘সোনালী ব্যাগ’ এর উদ্ভাবক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমদ খান, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম, শিল্প মন্ত্রণালয় ও চিনিকল সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শিল্প সচিব আখের ছোবরা থেকে বায়োফুয়েল উৎপাদন করা যায় কিনা সে বিষয়ে সম্ভব্যতা যাচাইয়ের জন্য ড. মোবারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে এ সফরে অংশগ্রহণ করেন।

এরপর শিল্প সচিব ফরিদপুর বিসিক শিল্প নগরী পরিদর্শন করেন। বিসিক শিল্প নগরীতে স্থায়ী কর্মকর্তা না থাকায় তিনি নিয়মিতভাবে কর্মকর্তা পদায়ন করার নির্দেশ দেন। অফিস ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পরিদর্শন প্রতিবেদনের সুপারিশসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

জেলা প্রশাসনের সাথে বিভিন্ন সভায় যে আলোচনা হয় তার কার্যপত্র প্রেরণ করতে হবে। তিনি বলেন, শিল্প নগরীতে পাম্প হাউজ, মেশিন (মোটর, পাম্প) দ্রূত মেরামত করতে হবে এবং সার্বিক পরিবেশ উন্নত করতে হবে। যে সকল কারখানায় পরিবেশগত সমস্যা রয়েছে সেগুলো পরিবেশবান্ধব করতে হবে বা অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে।