না ফেরার দেশে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী

মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আর নেই। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় রাজধানীর বেসরকারি ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

খ্যাতিমান এই মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের মুখপাত্র সাইফুর রহমান লেনিন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রিয়ভাষিণীর ছেলে কারু তিতাস জানান, দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি, ইউরিন ও থাইরয়েডের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তার মা।

তার উপর ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে নিজের বাসায় বাথরুমে পড়ে গোড়ালিতে চোট পান ৭০ বছর বয়সী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। পরে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসকরা তাকে জানান, গোড়ালির একটি হাড় স্থানচ্যুত হয়েছে। অস্ত্রোপচারও হয়েছিলো।

এরপর ২৩ নভেম্বর লিভারজনিত সমস্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের অধীনেও চিকিৎসা নেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।

নানা রোগের সঙ্গে সংগ্রাম করে অবশেষে মঙ্গলবার চিরদিনের মতো না ফেরার দেশে যাত্রা করলেন তিনি।

১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্ম ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান। ২০১৪ সালে একুশের বইমেলায় তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয়।