ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ

ফের ভয়াবহ রুশ হামলা, কিয়েভের একাংশ পানি-বিদ্যুৎহীন

ইউক্রেনে ভয়াবহ রুশ হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী কিয়েভ, খারকিভসহ কয়েকটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে পুতিন বাহিনী।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, আরেকটি রুশ মিসাইল গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে। যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করার পরিবর্তে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে রুশ বাহিনী। এসব হামলাকে ‘প্রতিক্রিয়া’ বলে আখ্যায়িত করবেন না। রাশিয়া এমনটা করছে, কারণ তাদের হাতে এখনো মিসাইল আছে। একই সঙ্গে তাদের ইউক্রেনীয়দের হত্যা করার ইচ্ছাও আছে।

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো বলেন, হামলায় ইউক্রেনের রাজধানীর একাংশ বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অন্তত সাড়ে তিন লাখ অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেন সরকারের দাবি, সোমবারের হামলায় মস্কো বাহিনী ড্রোন এবং কৌশলগত বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ৪০টি ক্রুজ মিসাইলও হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। তবে হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইউরোনিউজের খবরে বলা হয়, কিয়েভের দক্ষিণ-পূর্বে চেরকাসি অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোয় হামলা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্বে ডিনিপ্রেট্রোভস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং পশ্চিম ইউক্রেনের এলভিভসহ অন্যান্য অঞ্চলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, রুশ হামলায় মধ্য ইউক্রেনের কিরোভোহরাদ অঞ্চলের একটি জ্বালানি স্থাপনা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আঞ্চলিক গভর্নর সের্হি বোরজভ বলেন, ভিন্নিতসিয়ায় একটি মিসাইলকে গুলি করে ভূপাতিত করা হলে সেটি একটি ভবনে আছড়ে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

খারকিভে দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে রুশ মিসাইল। এতে পাতালরেলের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনীয় রেলওয়ে জানিয়েছে, রেলওয়ের কিছু অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।