ফ্যন্টাসি কিংডম কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, (সাভার) : সাভারের আশুলিয়ায় ফ্যান্টাসি কিংডম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও তিতুমীর কলেজের প্রায় ২০ শিক্ষার্থীকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাত শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জামগড়া এলাকায় ফ্যান্টাসি কিংডমের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

সায়মন নিয়াজ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান,শুক্রবার সকালে ঢাকার স্মরণখোলা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ হতে তারা ৮০ জন সদস্য আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমে বাৎসরিক বনভোজনে আসেন। এরপর বিকেলে রাইডে ওঠার সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ফ্যান্টাসির স্টাফদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ফ্যান্টাসি কতৃপক্ষের নির্দেশে সমস্ত স্টাফ তাদের ওপর লাঠি, রড, লোহার পাইপ ও চাপাতি দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। চাপাতির কোপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল জিহাদ, ইমতিয়াজ ও জুয়েলের কপালে ও মাথায় জখম হয়। এছাড়া তিতুমীর কলেজ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইলিয়াস, সাইফুলসহ প্রায় ২০ শিক্ষার্থীকে বেধরক পেটানো হয়।

এমন কি ফ্যান্টাসি কিংডমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরাও শিক্ষার্থীদের মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে আঘাত করেন বলে জানায়।

এই শিক্ষার্থী আরো জানান, পরে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।

এ ব্যাপারে ফ্যান্টাসি কিংডমের জেনারেল ম্যানেজার মেজর মনজুর উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

তবে বিনোদন পার্কটির প্রধান গণসংযোগ মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও ফ্যান্টাসি কিংডমের স্টাফরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে ফ্যান্টাসি কিংডমের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল দাবি করেন, শিক্ষার্থী ও ফ্যান্টাসি কিংডম কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংঘটিত ঝামেলা মীমাংসা হয়েছে। তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি উড়িয়েদেন।