বন্যায় পানিবন্দি ১৩ লাখ মানুষ, ত্রাণের জন্য হাহাকার

জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির ব্যপক অবনতি হয়েছে। ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম।

এদিকে যমুনার পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে শনিবার সকালে বিপৎসীমার ১৩৯ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ৬১টি ইউনিয়ন ও ৮টি পৌরসভায় ইতোমধ্যে পনিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। পানি ঢুকতে শুরু করেছে জামালপুর পৌর শহরের রামনগর, তেঁতুলিয়া, দেউড়পাড় চন্দ্রাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। বন্ধ রয়েছে ১ হাজার ১০৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্যার পানিতে বন্দি থাকায় দুর্গত এলাকায় খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কোথাও ত্রাণ বিতরণের কথা শুনলেই সেখানে ছুটে যাচ্ছেন বানভাসি মানুষেরা।

জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ৮৫০ মেন্টিক টন চাল এবং নগদ ১৪ লাখ টাকা। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের উদ্য্যোগ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তা তহবিল হতে যেসব ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে তা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তুলনায় খুবই নগণ্য। কারণ ভয়াবহ বন্যায় যমুনার দ্বীপচরের অনেক স্থানে যোগাযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন। তাই ত্রাণ বিতরণকারীদের ত্রাণ নিয়ে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না।