বরখাস্ত হলেন ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল

ফ্ল্যাট থেকে ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ গত রোববার ধানমণ্ডির নর্থ রোডের (ভূতেরগলি) ২৭-২৮/১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে গ্রেপ্তার হওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি (প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মুনিরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপণে এ তথ্য জানানো হয়।

গত বুধবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। পার্থকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়ে আগের দিন মঙ্গলবার কারা কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

গত রবিবার রাজধানীর ধানমণ্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদক। এর আগে ওই দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাসায় টাকা থাকার তথ্য পায়। এরপর সোমবার পার্থকে আদালতে নেওয়া হলে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠান।

মামলার এজাহারে পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বৈধ পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত হিসেবে ঘুষ গ্রহণ করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৮০ লাখ টাকা অর্জন, অর্থের অবস্থান গোপন ও পাচারের উদ্দেশ্যে নিজের বাসায় লুকিয়ে রাখার অভিযোগ আনা হয়।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসকে ময়মনসিংহগামী ট্রেন থেকে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর (স্থায়ী আমানত), এক কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক, ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এরপর সেই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি পার্থ গোপাল বণিকসহ ৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির তথ্য পায়। একই সময় দুদকও তদন্ত করে বিষয়টি।

সিলেটে দায়িত্ব পালনের আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন পার্থ গোপাল বণিক। চট্টগ্রাম কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাঁকে এবং চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।