বশেমুরবিপ্রবিতে “বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল পরম্পরা ও বঙ্গবন্ধুর প্রদীপ্ত ভাস্কর” শীর্ষক সেমিনার

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ‘মুক্তির অভিন্ন চেতনায় সম্প্রীতির ঐকতান’ স্লোগানে নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনসচেতনতা যাত্রায় “বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল পরম্পরা ও বঙ্গবন্ধুর ‘প্রদীপ্ত ভাস্কর'” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার হলে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনসচেতনতা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনসচেতনতা যাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু, এমপি।

এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান, গবেষক আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইতিহাস ঐতিহ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিম রেজা, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ইতিহাস জানতে হবে। এই বাংলার জনপদে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আর বঙ্গবন্ধুর অবদান চির অম্লান থাকবে।

বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব তার বক্তব্যে বলেন, অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় পৃথিবীর খুব কম মানুষ কাজ করেছে। তার ভিতর নেতাজী সুভাসচন্দ্র বসু ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অন্যতম। নেতাজী যে কাজটি করে যেতে পারেনি, বঙ্গবন্ধু সেটি সমাধান করে গেছেন। ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা দিয়ে গেছেন একটি জাতি, দেশ, মানচিত্র ও ভৌগোলিক সীমানার মাধ্যমে তা আমাদের লালন ও ধারণ করতে হবে।