বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অচল একাডেমিক কার্যক্রম

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সর্বশেষ সাধারণ সভায় ‘অভিন্ন নীতিমালা ‘ ও হাইটেক পার্ক নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

এদিকে চলমান বিষয়ে শিক্ষক সমিতি থেকে তিনজন শিক্ষক নেতা অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অব্যাহতি চেয়ে আবেদন পত্রে তারা পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, “কিছু ক্ষেত্রে ভালো কাজ করলেও অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষক সমিতি অর্থবহ ভূমিকা পালন করতে না পারার জন্য অব্যাহতি চেয়ে তাদের এই আবেদন”।

অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা তিনজন হলেন, ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফা,পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জাহিদ হাসান এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা। ৩ জনই শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য। তবে সভায় তিন জনের কারো পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়নি জানা যায়।

এ বিষয়ে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা আবুল বাশার রিপন খলিফা বলেন, আমরা অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তা গ্রহণ করা হয় নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আবু সালেহ বলেন,আমরা এখনো কাজ করছি। সময় শেষ হয়ে যায় নি।সুতরাং, এখনই ব্যর্থ বলার সুযোগ নেই।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আমি প্রক্টরের আগে শিক্ষক সমিতির সভাপতি, তার আগে একজন শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রয়োজনে আমি থাকবো, কথা বলবো। শিক্ষক সমিতিও ন্যায্য দাবিতে অটল থাকবে।

উল্লেখ্য, রিজেন্ট বোর্ডে ইউজিসি কর্তৃক প্রেরিত অভিন্ন নীতিমালা অনুমোদন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরে আইসিটি পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রতিবাদে গত বুধবার (৯ নভেম্বর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহ্বানে কর্মবিরতি পালন করছে শিক্ষকরা ।ফলে বন্ধ রয়েছে বিশ্বদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক (শিক্ষকদের প্রশাসনিক কার্যক্রম) কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) শিক্ষক নেতৃবৃন্দ- উপাচার্য জরুরি আলোচনা সভার আয়োজন করা হলেও উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি এখনো চলমান রয়েছে।