বাংলাদেশের ওষুধ যাচ্ছে ১২৭ দেশে

দেশীয় বাজারের ৯৮ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হচ্ছে প্রায় ১২৭টি দেশে। তবে কাঁচামাল এখনো আমদানি নির্ভর হওয়ায় ক্রমেই ঝুকির মধ্যে পড়ছে সম্ভাবনাময়ী এ খাত।

তাই কাঁচামাল উৎপাদনে নগদ সহায়তা চান এ খাতের উদ্যোক্তারা। আর এ খাতের সক্ষমতা বাড়াতে আসছে বাজেটে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করার সময় এসেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের যাত্রার শুরুটা পঞ্চাশের দশকে। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েই ওষুধ উৎপাদনে মনযোগী হয় এখাতের উদ্যোক্তরা। শুরুতে আমদানি নির্ভর ছিলো প্রায় ৮০ ভাগ ওষুধ।

তবে তার আমূল পরিবর্তন হয় আশির দশকে। ধীরে ধীরে দেশের ৯৮ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে এখন বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের প্রায় ১২৭টি দেশে।

ওষুধ বিশেষজ্ঞ এবি এম ফারুক বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে নিজস্ব চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ তৈরি হয় না, আমরা পারি বলেই ১৪০ টি দেশে আমরা ওষুধ রপ্তানি করি।

সম্ভাবনার ঠিক উল্টো পিঠেই রয়েছে এ খাতের বেশ কিছু সমস্যা। রপ্তানিতে যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে তার সিংহভাগই চলে যাচ্ছে ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে। তাই কাঁচামাল উৎপাদনে নগদ সহায়তা চান এ খাতের উদ্যোক্তারা।

উন্নয়নশীল দেশ পর্যায়ে উন্নীত হওয়ায় বিশ্ববাজারের অনেক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত হতে পারে বাংলাদেশ। তাই ওষুধ খাতের সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ইনসেপ্টা ফার্মার নির্বাহী পরিচালক, এ এ সেলিম বারামী বলেন, কিছু ফিনেনশিয়াল প্রণোদনা থাকলে কোম্পানিরা এদেশে আরো আসবে।

সানেম এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, ২০২৭ সাল নাগাদ এলডিসির কাছ থেকে যে সুবিধা পায় তা বাতিল হবার সুম্ভাবনা আছে।

ওষুধ খাতের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে, এ খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে আসছে বাজেটে সরকারী বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান তাদের।