বাংলা নববর্ষে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক : জাতীয় নারী আন্দোলন

সকল গ্লানি ও ব্যর্থতা নিয়ে বিদায় হোকে ১৪২৮, আর বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ বর্ষে প্রতিষ্ঠিত হোক নারীর অধিকার’ এই প্রত্যাশা করে দেশবাসীসহ ও বিশ্বের সকল বাঙ্গালিদের প্রতি আন্তরিক শুভকামনা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় নারী আন্দোলনের সভাপতি মিতা রহমান এবং সহ-সভাপতি জীবন নাহার, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারা বেগম ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাকলি রহমান।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) বাংলা নতুন বছর ১৪২৯কে স্বাগত জানিয়ে গণমাধ্যমে প্রেরত এক বাণীতে নেতৃবৃন্দ এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তারা বলেন, বাংলা নববর্ষে সকল বাঙালী আলোড়িত হয়, আন্দোলিত হয় নতুন শক্তিতে একত্রিত ও উদ্বেলিত হয়ে। আর তাই উৎসব সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র, দীন, একাকী। কিন্তু উৎসবের দিনে মানুষ বৃহৎ, সে সমস্ত মানুষের সাথে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সমস্ত মনুষ্যত্ত্বের শক্তি অনুভব করিয়া বৃহৎ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির এক বৃহৎ অংশ জুড়ে আছে বাঙলার নারী সম্প্রদায়। আধুনিক যুগের নারী জাগরণে এর অবদান অনস্বীকার্য। নারী যেন প্রকৃতিরই প্রতিচ্ছবি। ঘরে বাইরের যুদ্ধে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, উৎসবে, আয়োজনে, বিজ্ঞাপনে, আপ্যায়নে, ছলাকলায়, চিত্রশিল্পে, ভাস্কর্যে, সৃষ্টিশীলতায়, পরিবেশনায়, উপস্থাপনায়, রূপচর্চায়, রন্ধনশৈলীতে, রাষ্ট্র পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে নারী স্বমহিমায় সদা বিচরণশীল এবং আবির্ভূত হন নানা রূপে। সকল ক্ষেত্রে নারীর পদচারনা সমৃদ্ধশালী করেছে এই জাতিকে।

তারা বলেন, পহেলা বৈশাখ যেন নারীর জীবনে নুতন শক্তির, সৌন্দর্যের আবির্ভাব ঘটায়। সেটা কেবল নববর্ষের উৎসব উদযাপনে রঙের বাহারে আর সাজসজ্জায় নয়, আবির্ভাব ঘটে নারীর আত্ম প্রকাশ ও আত্ম বিকাশের। সামাজিক জীবনে রীতিনীতির বেড়াজালে নারীর জীবন যথার্থ অর্থে বাক ও কারারুদ্ধ। প্রতিনিয়ত তার মন ছটফট করে স্বপ্নে, অবসরে, নিরালায়, কল্পনায়, হতাশায়, ব্যর্থতায়, নিঃসঙ্গতায়। এ বাঁধা মানের, বিত্তের, রীতিনীতির, ধর্মের, প্রথা পদ্ধতির, ভাষার, অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১ বৈশাখ সকল অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে নতুন দিনের শুভ সূচনা হোক, এবং জাতি খুজে পাক মুক্তির পথ। নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বাঙ্গালির যে আয়োজন তা একটিমাত্র দিনে সীমাবদ্ধ না রেখে বছরের অন্যান্য দিনগুলোতে তার আবহ বজায় রাখার মধ্য দিয়েই চলতে পারে আমাদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা। এক্ষেত্রে একজন নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।