বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের গোলাগুলি, অনুপ্রবেশ থামেনি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দক্ষিণ সীমান্তের ঘুমধুমের তুমব্রু পয়েন্টে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। প্রায় ১০ দিন বন্ধ থাকার পর রোববার সকাল ৯টায় তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

স্থানীয়রা জানান, গোলাগুলি ১০ মিনিট স্থায়ী ছিল। এদিকে তিন দিন আগেও ৮-১০ জন অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান।

ব্যবসায়ী সরওয়ার কামাল, ছৈয়দ হোসাইন ও ওসাইন তংচঙ্গা বলেন, তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ঢেকুবুনিয়া থেকে এ গোলাগুলি হয়েছে। এতে তুমব্রু ও হেডম্যানপাড়ার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, প্রায় সময়ই গোলাগুলি হয়। আজও তাই হয়েছে। তবে আরাকান আর্মির কাছ থেকে ক্যাম্প পুনরুদ্ধারে জান্তা বাহিনী বিমান হামলা করবে—এ ধরনের ভুয়া কথা রটে গিয়েছিল সর্বত্র। এতে সাধারণ মানুষ ভয় পাচ্ছে।

এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে ব্যাপক হারে চোরাচালান চলছে। সীমান্তের ৩৭ নম্বর পিলার বাইশফাঁড়ি এলাকা থেকে ৫০ নম্বর পিলারের লেবুছড়ির বাহির মাঠ পর্যন্ত দীর্ঘ সীমান্তের অন্তত ২০টি পয়েন্ট দিয়ে চোরাচালান বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। মিয়ানমার থেকে গরু, মহিষ, ইয়াবা, সিগারেটসহ আসছে আর বাংলাদেশ থেকে ভোজ্য ও জ্বালানি তেল, চাল, বিস্কুটসহ খাদ্যসামগ্রী যাচ্ছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান বলেন, পূর্ব সীমান্তে চোরাচালান বেড়েছে ১০ গুণ। বিশেষ করে চাল, ভোজ্য ও জ্বালানি তেল যাচ্ছে প্রচুর। মিয়ানামার থেকে আসছে গরু, মহিষ, সিগারেটসহ নানা পণ্য। এগুলো বন্ধ না হলে এ সীমান্তে খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে।

মোহাম্মদ ইমরান বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে সেই দেশের মানুষ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। এর ধারাবাহিকতায় তিন দিন আগেও দুই পরিবারের ৮-১০ জন মিয়ানমারের মুরং নাগরিক, দোছড়ি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুরিক্ষ্যং মৌজার মেনরোয়াপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে ১১ বিজিবি অধিনায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।