বান্দরবানে ডাকাত সর্দারসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী এলাকা থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আনেয়া বাহিনীর প্রধান মো. আনোয়ার ডাকাতসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দুর্গম থ্রিস্টার রাবার বাগানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, থ্রি স্টার রাবার বাগান এলাকা থেকে ৩ সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- আনেয়া গ্রুপের প্রধান মো. আনোয়ার ওরফে আনেয়া, মো. হামিদ এবং বাপ্পী।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, ১টি এলজি রাইফেল, ৫ রাউন্ড গুলি, ৩টি গুলির খোসা এবং ৪টি মোবাইল সেট উদ্ধার বরেছে পুলিশ।

লাশগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আনেয়া বাহিনীর অপহরণ, হত্যা এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলো নাইক্ষ্যংছড়ি এবং রামু দুটি উপজেলার বাসিন্দারা।

আনেয়া ডাকাতের মৃত্যুর খবরে স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে এসে বাইশারী বাজারে আনন্দ মিছিল করেছে। নিহত ডাকাতদের বাড়ি কক্সবাজারের রামু ও মহেশখালী এলাকায় বলে জানাগেছে।

জেলার পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, বাইশারী থেকে আনেয়া বাহিনীর প্রধান আনোয়ার ডাকাতসহ তার দুই সহযোগীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত দলের দুটি অস্ত্রধারী গ্রুপের মধ্যে আধিপাত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে।

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, আনেয়া বাহিনীর হাতে বাইশারী, ঈদগড়, ঈদগাড়, জারুলিয়াছড়ি, গর্জনিয়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষেরা এতোদিন জিম্মি ছিলো। এ অঞ্চলকে অপহরণ, হত্যা এবং ডাকাতির স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিলো ডাকাতরা।

প্রসঙ্গত: গত সপ্তাহে বাইশারীতে আনোয়ার বলি নামের আরেক ডাকাত সর্দার পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।