বাসা ভাড়া নিয়ে বিপাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

মহামারী করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণে শিক্ষাক্রম স্বাভাবিক হয়নি। এ অবস্থায় সব থেকে বিপাকে পড়েছে অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গত বছরের ১৭ মার্চে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী বন্ধ হলে শিক্ষার্থীরা গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু মেস ভাড়া ঠিকই বহন করতে হয়। সব ধরনের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে চরম সংকটে পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার তাগিদে মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের চরম সংকট তৈরী হলে ও নীরব ভূমিকায় রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

করোনায় শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া সংকট দেখা দেয় গত মে মাস থেকে।বাড়িওয়ালদের বিভিন্ন হুমকির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে স্হানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নেওয়ার আশ্বাস দেয়া হলে ও হয়রানী বাড়ে শিক্ষার্থীদের। এরপর গত বছরের ১০ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠনের ১৯ নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের করোনায় সংকট কালীন শিক্ষা বৃত্তির দাবি জানায়। পরের দিন ১১ জুন শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ মৌখিক ভাবে শিক্ষা বৃত্তির দাবি জানায়। এই দাবির প্রেক্ষিতে ১৩ জুন সংকট নিরসনে মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ কে নিয়ে এক সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটি গঠনের ২৩ দিন পর গত ৭ জুলাই শিক্ষা বৃত্তির প্রস্তাব দেয় তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটি ৭ মাস পূর্ণ হলেও এখনো কোন ও অগ্রগতি দেখি না।

এদিকে, গত বছর (২০২০ সালের ৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যান পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল বাকী একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে মেস ভাড়া সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উপস্থিত থেকে একটি ফরম সংগ্রহ করতে বলা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন শুরু শিক্ষার্থীরা ও বিভিন্ন মহল থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সাথে সাথে এ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২৫ জুন শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কে লিখিত ৫ দফা দাবি জানান শাখা ছাত্র লীগ। তাদের দাবি অনু্যায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বাসা ছেড়ে দিচ্ছেন, তাদের মালপত্র সরাতে মাঠে সক্রিয় করে আসছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এর পর ১ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড.নূর মোহাম্মদ বলেন, আমাকে রির্পোট দিতে বলা হয়েছে। আমি শিক্ষা বৃত্তির প্রস্তাবনা দিয়ে রিপোর্ট সাবমিট করেছি। এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তবে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসলে তখন শিক্ষা বৃত্তি দেয়া হবে।’

কমিটি গঠন ও রিপোর্ট প্রদানের ১১ মাস পার হওয়ার পরেও এ বিষয়ে কোন ও কার্যক্রম নেই।
এ প্রশ্নে নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘এটা ভিসি স্যার ভাল বলতে পারবেন।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার প্রকৈাশলী মো.ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘কমিটি একটা রিপোর্ট সাবমিট করেছে সেটা আমি উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।কিন্তু স্যার এখনো কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি এবং একাডেমিক কোনও মিটিং হয়নি।’