বিএনপির সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্তে শরিক নেতারা ক্ষুব্ধ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করা হয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ২০ দলীয় জোটের শরিক নেতারা। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিল (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমেদ বিএনপির শপথকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন।

এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের কী কথা হয়েছে বা হয়নি এ ব্যাপারে আমাকে বলা হয়নি বা ২০ দলীয় ঐক্যজোটের মিটিং ডাকা হয়নি, আলোচনাও হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি সর্বপ্রথম এ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিল। নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার পর ওই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তারা সংসদে যাচ্ছে, এখন তারা দলের কর্মীদের কী জবাব দেবে? জনগণকে কী জবাব দেবে? সেটা তাদের ওপর নির্ভর করে। তবে আমি মনে করি এটা হঠকারী একটি সিদ্ধান্ত।’

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘যেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি আমরা সেই সংসদে শপথের বিপক্ষে। এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। বেইমানি করা হয়েছে। চক্রান্তের অংশ হিসেবে তাদের এমপি করা হয়েছে। এই চক্রান্তের কারণে তারা শপথ নিয়েছেন।’

বিএনপির এই সিদ্ধান্তে শরিকরা সবাই ক্ষুব্ধ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির কাছে মিটিংয়ে জবাব চাইব। ব্যাখ্যা চাইব।’

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির মতো একটা বৃহত্তম রাজনৈতিক দল শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও যেভাবে লুকোচুরি করে শেষ সময়ে এসে শপথ নিল এটা দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এই ছলচাতুরি নীতি ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বিএনপির জন্য বুমেরাং হবে।’

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘কারান্তরীণ বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে এমপির শপথ নেয়া সঠিক হয়নি। অযথা এই ভুলের মাশুল ১৬ কোটি মানুষকে দিতে হবে।’

তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম দাবি করেছেন তাদের নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণে জোটে ভাঙনের কোনো আশঙ্কা নেই।