বিএনপি পাগলের কোম্পানি ও চোরের আখড়া : আইনমন্ত্রী

বিএনপিকে পাগলের কোম্পানি ও চোরের আখড়া আখ্যা দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এই দলটি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা দেশে আইনের শাসন কায়েম করেনি। আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে রাখার বিষয়টিকে উদাহরণ হিসেবে দেখান তিনি।

শুক্রবার বিকালে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন তন্তর বাসস্ট্যান্ডে যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

বিএনপির সমালোচনা করে আনিসুল বলেন, ‘এদেশে বিএনপি নামের একটি পাগলের কোম্পানি আছে। বিএনপি একটা চোরের আখড়া।’

‘দেশে আইনের শাসন নাই’ Ñবিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে রাখার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার প্রসঙ্গও তোলেন আইনমন্ত্রী। বলেন, ‘এই হত্যার পর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে নাই।’

‘তারপর প্রেসিডেন্ট সাত্তার, এরশাদ এমননিক ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে নাই।’
‘১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে উদ্যোগ নেন। এইসব ইতিহাস থেকে এটাই প্রমাণ করে বিএনপি আমলে কখনও দেশে আইনের শাসন ছিল না।’

আওয়ামী লীগের আমলে ভোটাধিকার এবং তাদের আদালতে যাওয়ার অধিকার শক্ত হয়েছে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বেগম খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। আদালত সেই মামলায় এতিমের টাকা চুরি করার অপরাধে খালেদা জিয়াকে পাঁ বছরের সাজা এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। এজন্যই খালেদা জিয়া জেলে আছে। অথচ ওরা (বিএনপি) বলছে, এদেশে আইনের শাসন নাই।’

‘আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করলে ২০১৪ সালের পর খালেদা জিয়া অনেকবার আদালতে প্যারেড করতে হতো। কিন্তু আমরা তা করি নাই। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। ’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া থেকে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে তার পক্ষে তুলে সমর্থন আদায় করেন আনিসুল হক। বলেন, ‘আমি আপনাদের সন্তান, আপনাদের সেবক। আপনাদের সন্তান কখনও মিথ্যা বলতে পারে না।’

ধরখার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাফেজ সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাছির মো. আরিফ প্রমুখ।