খায়রুল কবির খোকনের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষে দুই নেতা নিহতের ঘটনার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এতে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামি খায়রুল কবির খোকনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এর আগে গত মার্চে খায়রুল কবির খোকনকে জামিন দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে তার জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এরপর খায়রুল কবির খোকন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আপিল আবেদন করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী ছাত্রদলের জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকে সংগঠনটির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান ও ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাইনুদ্দিন ভূঁইয়ার সঙ্গে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সদস্য সচিব রিফাতের বিরোধ চলে আসছিল। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রকাশ্যে নাহিদ ও রিফাতকে সমর্থন দিয়েছেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিতরা সাদেক ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আন্দোলন করে আসছে।

গত বছরের ২৫ মে দুপুরে সাদেক ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে পিকআপভ্যান ও শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। বিক্ষোভ মিছিলটি চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি ভেলানগর পার হয়ে চিনিশপুর সড়কে প্রবেশ করা পর আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা সাদেকুর রহমানকে ঘেরাও করে খুব কাছ থেকে তার মাথায় গুলি করে। এ ঘটনায় আশরাফুল নামে আরও একজনকে গুলি করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাদেকুর রহমান মারা যায়। এর একদিন পর ২৬ মে সকালে অপর ছাত্রদল নেতা আশরাফুলও মারা যায়। পরে এ ঘটনায় মামলা করা হয়।