বিদায় জানাতে গিয়ে কাঁদলেন সানিয়া মির্জা

বয়স ৩৬ পেরিয়েছে। সেরা সময় অনেক আগেই পার করে এসেছেন। ছয় গ্র্যান্ড স্লামের শেষটি জিতেছিলেন সাত বছর আগে। তা ছাড়া পরিবারকে আরও সময় দিতে চাইছিলেন। এসব কারণে অবসরের ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন সানিয়া মির্জা।

বিদায়টা এমন জায়গায় নিলেন, যে মেলবোর্ন পার্কেই শুরু হয়েছিল তার পেশাদার টেনিস ক্যারিয়ার। আর গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারে তিনি নিজের শেষ ম্যাচটা যে বোপান্নার সঙ্গে জুটি গড়ে খেললেন, ২২ বছর আগে ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনিই ছিলেন সানিয়ার ‘প্লেয়িং পার্টনার’।

সব মিলিয়ে বিদায়ের ক্ষণটা সানিয়ার জন্য অন্য রকমই ছিল। এটা আরও রঙিন আর মধুর হতো, যদি ফাইনাল জিতে ট্রফি হাতে নিয়ে বলতে পারতেন-বিদায় গ্র্যান্ড স্লাম!

ফাইনালের শুরুটা খুব একটা খারাপ করেননি সানিয়া ও বোপান্না। একসময় এগিয়েও গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তাদের সার্ভিস প্রতিপক্ষ ব্রাজিলীয় জুটি ‘ভাঙ’তেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করেন।

প্রথম সেটে তবু লড়াই হয়। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে কোনো লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। কে জানে, হয়তো আগের সেট জিততে জিততে হেরে বসাতেই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন ৩৬ বছরের সানিয়া আর ৪২ বছর বয়সী বোপান্না।

সানিয়াকে অবশ্য রাজসিকভাবেই বিদায় দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরুর আগে পুরো রড লেভার অ্যারেনা হর্ষধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে। বিদায়ী বার্তায় সানিয়াও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, ‘এটা কষ্টের নয়, আনন্দের কান্না। এই মুহূর্তটা আমি ব্রাজিলের জুটির থেকে কেড়ে নিতে চাই না। তোমরা দারুণ খেলেছ।’

দেড় যুগ আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকেই পেশাদার টেনিসে যাত্রা শুরু হয়েছিল সানিয়ার। সে সময়ের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল এই মেলবোর্নে। যখন ২০০৫ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের বিপক্ষে তৃতীয় রাউন্ডে খেলতে নেমেছিলাম। বারবার এই কোর্টে খেলার সুযোগ পাওয়া, কিছু টুর্নামেন্ট জিততে পারা আমার জন্য সম্মানের।