বিদেশী ক্রিকেটারদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় বোর্ড

ভয়াবহ করোনা সংক্রমনের কারণে আইপিএল স্থগিত। কঠোর বায়ো-বাবল পরিস্থিতির মধ্যেও করোনাভাইরাস ঢুকে পড়ায় স্থগিত ঘোষণা করতে হয়েছে জমজমাট এই টুর্নামেন্টটি।

অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার ফলে আইপিএল খেলতে আসা বিদেশী ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।

যেসব দেশের ক্রিকেটার এবার আইপিএল খেলছে, প্রতিটি দেশ থেকেই তাদের ক্রিকেটারদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করা হয়েছে। আবার অনেকগুলো দেশ ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এবং ফ্লাইট পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, তারা ‘যে কোনো একটি পথ’ খুঁজে বের করবেন বিদেশি ক্রিকেটারদের দেশে পাঠানোর ব্যাপারে।

পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিজেশ প্যাটেল বলেন, তাদেরকে (বিদেশি ক্রিকেটার) নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন এবং আমরা এ সম্পর্কিত একটি পথ খোঁজার চেষ্টা করছি। কতজন বিদেশি ক্রিকেটার দেশে ফিরতে চাচ্ছে, কিংবা কতজনকে পাঠানো হবে? জানতে চাইলে ব্রিজেশ প্যাটেল সঠিক জবাব দিতে পারেননি।

তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে বিদেশি ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা প্রদান করা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

এবারের আইপিএলে ১৭জন অস্ট্রেলিয়ান (এর মধ্যে তিনজন ফিরে গেছে), ১০জন নিউজিল্যান্ডের, ১১ জন ইংল্যান্ডের, দক্ষিণ আফ্রিকার ১১ জন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯জন, আফগানিস্তানের তিনজন এবং বাংলাদেশের ২জন।

অস্ট্রেলিয়া সরকার সরাসরি ঘোষণা করেছে, ভারত থেকে আর কোনো ব্যক্তি আপাতত তাদের দেশে পা রাখতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররাও পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড (সিএ) এবং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়া (এসিএ) একে যুক্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়।

তারা বলেন, সিএ সরাসরি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে, কিভাবে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা রক্ষা করা যায় এবং কিভাবে তাদের ভারত থেকে নিরাপদে সরিয়ে আনা যায় এ ব্যাপারে।

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (সিএসএ) জানিয়েছে, তারা সরাসরি খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার প্রয়োজন, তাদেরকে সেই সহযোগিতা দেয়া হবে।

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আবার বিসিসিআইয়ের ওপর অগাধ আস্থা। তারা বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য। নিউজিল্যান্ড মনে করে তাদের ক্রিকেটাররা নিরাপদ পরিবেশের মধ্যেই রয়েছে।

ভারতীয় ক্রিকেট দল এবং ভারতে থাকা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা একসঙ্গেই ইংল্যান্ড সফর করবে, আগামী জুনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার জন্য।