বিধ্বস্ত’ বার্সার প্রতিপক্ষ কিয়েভ

বিরতি শেষে আবারও শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াই। প্রথম দিন ডায়নামো কিয়েভের মাঠে আতিথ্য নেবে বার্সেলোনা। ম্যাচটি শুরু হবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায়।

আন্তর্জাতিক বিরতির পর, লিগ ম্যাচে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলো বার্সেলোনার ফুটবলাররা। ফলাফল, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে হার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর আগে তাই দুশ্চিন্তায় কাতালান শিবির।
যদিও পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকালে স্বস্তি পাবে রোনাল্ড কোম্যান। জয়রথ ছুটতে থাকায়, টেবিলের শীর্ষে আছে দলটি। এ ম্যাচের আগে সবচেয়ে বড় খবর, ইউক্রেনিয়ানদের বিপক্ষে জিতলে নক আউট পর্ব অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।

তার ওপর নক আউটে সহজ প্রতিপক্ষ চাইলে, গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের জায়গাটা ধরে রাখতে হবে কোম্যান বাহিনীকে। তাই যতই স্বস্তি থাকুক, জয় ভিন্ন কিছু ভাবতে নারাজ তিনি। তবে, শঙ্কা আছে বার্সেলোনার মূল ফুটবলারদের নিয়ে। ইনজুরি কেড়ে নিয়েছে বুসকেটস, উমতিতি এবং আনসু ফাতি, জেরার্ড পিকে এবং সার্জি রবার্তোকে। আর টানা ম্যাচ খেলার ধকল থাকায় বিশ্রামে রাখা হয়েছে লিওনেল মেসি- ডি ইয়ংকে।
এ ম্যাচে তাই আনকোড়া কিছু চেহারা দেখা যাবে বার্সেলোনা একাদশে। প্রথমবারের মতো দলে জায়গা পেতে পারেন ম্যাথিউস, লা ফুয়েন্তে কিংবা অস্কার। আর আক্রমণভাগে মেসি-ফাতির জায়গায় শুরু থেকেই দেখা যেতে পারে ব্র্যাথওয়েট, ডেম্বেলে, গ্রিজম্যান এবং ত্রিনকাওকে। সঙ্গে পেদ্রি আর কৌতিনহো তো থাকছেনই! তবে, সবচেয়ে দুশ্চিন্তা যে জায়গাটা নিয়ে সেই গোলপোষ্ট সামলানোর দায়িত্বটা বরাবরের মতোই পাবেন টের স্টেগেন।

প্রতিপক্ষ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে বসার আগে নিজেদের নিয়েই বিপাকে আছেন ডায়নামো কিয়েভ বস। ফর্মটা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না তার শিষ্যদের। তার ওপর এ আসরে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে ধুঁকছে কিয়েভিয়ানরা।

অতীত দেখার ইতিহাস ঘাঁটলেও কোন সুখস্মৃতি নেই ইউক্রেনের ক্লাবটির জন্য। ২০০৯ থেকে যতবারই দেখা হয়েছে দু’দলের, জয়ে পেয়েছে বার্সেলোনাই। আর কাতালানদের বিপক্ষে শেষবার জয়ের স্মৃতি হাতড়াতে গেলে কিয়েভকে যেতে হবে ১৯৯৭ সালে।
যদিও এত কিছুর পরও জয়টাকেই একমাত্র ধ্যানজ্ঞান করেছেন মির্কেয়া লুকেস্কু।