বিন লাদেনের ৪ লাখ ৭০ হাজার নথি প্রকাশ

আল কায়দার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার সময় জব্দ করা ৪ লাখ ৭০ হাজার নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)।

২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনের এসব নথি জব্দ করা হয়। বুধবার এ নথিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।

এ নিয়ে বিন লাদেনসংক্রান্ত নথিপত্রের চতুর্থ কিস্তি প্রকাশ করল সিআইএ। নতুন নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিন লাদেনের ব্যক্তিগত ডায়েরি, তার কম্পিউটার থেকে পাওয়া অডিও এবং ভিডিও।

একটি ক্লিপে ছেলে হামজা বিন লাদেনের বিয়ের ভিডিও রয়েছে। সিআইএ জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু বিষয় প্রকাশ করা হয়নি। খবর বিবিসির।

বিন লাদেনের বাড়িতে অভিযানের সময় জব্দকৃত তার কম্পিউটার থেকে ১৯৯০-এর দশকের হলিউডের অ্যানিমেটেড অ্যাডভেঞ্চার কমেডি ‘অ্যান্টস’, ‘চিকেন লিটল’ ও ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ পাওয়া গেছে।

‘হোয়ার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ওসামা বিন লাদেন’ এবং ‘কুং ফু কিলার্স’, ‘ইনসাইড দ্য গ্রিন বিরেটস’, ‘ওয়ার্ল্ডস ওরস্ট ভেনম’ শিরোনামে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের বেশ কিছু অনুষ্ঠানও ছিল। এছাড়া শিশুদের কার্টুন ও বিন লাদেনসংক্রান্ত তিনটি প্রামাণ্যচিত্র পাওয়া যায়।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইএ’র পরিচালক মাইক পম্পেও বলেন, ‘প্রকাশিত নথির মধ্যে ১৮ হাজার কাগজপত্র, ৭৯ হাজার অডিও এবং ছবি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনাসংক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার ভিডিও রয়েছে।

এছাড়া আরব বসন্তসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নিজ ডায়েরিতে লাদেনের হাতে লেখা ২২৮ পৃষ্ঠার নোটও রয়েছে। পম্পেও বলেন, উদ্ধার হওয়া এসব নথি আমেরিকার জনগণকে সন্ত্রাসী সংগঠনটির পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরও বিশদভাবে জানার সুযোগ করে দেবে।’

নথিগুলোতে মিত্রদের সঙ্গে জঙ্গি এ সংগঠনটির ‘কৌশল, মতবাদ ও ধর্মীয় বিরোধ’ বিষয়ে ইঙ্গিত মিলবে বলে জানান সিআইএ কর্মকর্তারা।

২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার জন্য দায়ী সংগঠনটি কিভাবে আরব বসন্তের গণজাগরণকে কাজে লাগানোর কৌশল নিয়েছিল প্রকাশিত নথিগুলোতে সে সম্বন্ধেও ধারণা পাওয়া যাবে।

এও জানা যাবে যে, গণমাধ্যমে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের কি পরিকল্পনা ছিল আল কায়দার। প্রকাশ করা নথির মধ্যে লাদেনের ছেলে হামজার বিয়ের ভিডিও আছে।

কৈশোরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন হামজা, যাকে আল কায়দার পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে গড়ে তুলছিলেন ওসামা। বিশে পা দেয়া হামজার সঠিক অবস্থান এখনও মার্কিন গোয়েন্দাদের অজানা।