‘বিমানবন্দরের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি চায়নি ভারত’

সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি চেয়েছে ভারত- এমন একটা খবর কয়েক দিন ধরেই প্রচার হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি কিছু গণমাধ্যমও এই খবর প্রচার করে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে উদ্ধৃত করে জানায়, ব্যাংলাদেশ এ ব্যাপারে পর্যালোচনা করছে।

তবে এই খবর জোর গলায় অস্বীকার করেছেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘ভারত আমাদের কাছে কোনো জমি চায়নি। যে খবরটি আপনারা জেনেছেন সেটা সম্পূর্ণ অসত্য।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ভারত মূলত যেটা চেয়েছে, সেটা হচ্ছে ত্রিপুরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে লাইটের কমপ্লিট ফেইজ পূরণ করতে বাংলাদেশের অংশে কিছু লাইট বসাতে।’

‘যেকোনো বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান ওঠানামার নির্দেশনা দেয়ার জন্য লাইটের একটি কমপ্লিট ফেইজের প্রয়োজন হয়। যেখানে কয়েক ফুট অন্তর অন্তর প্রায় ৫০টির মতো লাইট বসানো হয়। একে বলা হয় ক্যাট আই লাইট।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লাইটের এই কমপ্লিট প্যানেলের যে দৈর্ঘ্য সেটা বসানোর মতো জায়গা ভারতের অংশে না থাকায় তারা বাকি কিছু লাইট বাংলাদেশের অংশে বসানোর অনুরোধ করে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে।’

সম্প্রতি ভারত এ নিয়ে একটি অনুরোধপত্র পাঠিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারত লাইট বসানোর বাইরে রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য জমি বা কোনো অবকাঠামো নির্মাণের জন্য কিছু চায়নি।’

‘এসব লাইটের বেশিরভাগ ভারতেই অংশেই বসবে, এরমধ্যে কিছু লাইট আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে বাংলাদেশের অংশে বসানো হতে পারে।’

প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনকে ভারতের এই অনুরোধ যাচাই বাছাই করে তাদের মতামতের জন্য বলা হয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের মতামতের ভিত্তিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে আলাপ আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ভারতের থেকে কোনো প্রস্তাব এলেই এটা নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি করা হয়। অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়। একটি চক্র সবসময় একে তাদের সস্তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করে।’

‘কিন্তু সরকারের নীতি হলো, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা সমুন্নত রেখে প্রতিবেশী দেশের সাথে ভালো সম্পর্কের ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া।’

তিনি মনে করেন, সরকারের এমন নীতির কারণেই বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও যাতায়াতে অনেক ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

‘আর সব কিছুই সম্পন্ন হয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট কার্যপ্রণালীর মাধ্যমে। এই লাইট বসানোর বিষয়টিও সেভাবেই করা হবে।’