বোলিংয়ে এসেই সাকিবের উইকেট

বোলিংয়ে এসেই পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানলেন সাকিব। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আহমেদ শেহজাদকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান বিশ্বসেরা এই অল রাউন্ডার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান।

৩৪২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আজহার আলীর উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলীয় ১৪ রানে ব্যক্তিগত ৮ রান করে তাসকিনের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। আজহার আলীর পর দ্রুত বিদায় নেন বাবর আজম। মাশরাফির বলে ব্যক্তিগত ১ রান করে মুশফিককে ক্যাচ দেন।

বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার তামিম ও সৌম্য। তামিম একটু ধীর গতিতে খেললেও সৌম্য রানের চাকা সচল রাখছিলেন। তবে নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশি বড় করতে পারেননি বাঁ-হাতি এই ওপেনার। ব্যক্তিগত ১৯ রান করে জুনায়েদ খানের বলে বাবর আজমকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান টাইগার এই তারকা।

তবে সৌম্যের বিদায়ের পর চেনা রূপে ব্যাট করতে থাকেন এই ব্যাটসম্যান। জুনায়েদ খানের এক ওভারেই তুলেন ২৫ রান। পাকিস্তানের বাকি বোলারদেরও ছেড়ে কথা বলেননি তামিম। ৩৯ বলে ৭ চার ২ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার।

তামিমের পর পাকিস্তান বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন ইমরুল। ৪৬ বলে ৭ চারে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানও। তবে এরপর ব্যক্তিগত ৬১ রানে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল। আউট হওয়ার আগে দুইজন মিলে গড়েন ১৪২ রানের জুটি।

ইমরুলের বিদায়ের পর মুশফিককে সঙ্গে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিয়ে যান তামিম। তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরি। তবে এরপর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি তামিম। ১০২ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। তামিমের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি মুশফিকও। ব্যক্তিগত ৪৬ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।

তবে উইকেটে এসে রানের গতি পড়তে দেননি সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ ২৪ বলে ২৯ রান করেন। আর সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। আর শেষ দিকে মোসাদ্দেক ১৫ বলে ২৬ রান করলে পাকিস্তানের সামনে ৩৪১ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।