ব্রেক্সিট বিল নিয়ে সংসদে ফের হারলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে ব্রেক্সিটের খসড়া বিল সংসদে উপস্থাপন করে ফের পরাজিত হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আনা খসড়াটি ৩৯১-২৪২ ভোটে ব্যবধানে প্রত্যাখ্যান করেছেন। অর্থাৎ ১৪৯ ভোটের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে টেরিজা মের এই খসড়া চুক্তি।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের আনা একটি বিল বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। তার পর আস্থা ভোটের মুখোমুখি হন থেরেসা মে। সেটি কোনোমতে উতরে যান তিনি। এর পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে ব্রেক্সিটের ‘ব্যাকস্টপ’ ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা চালান থেরেসা মে।

ব্রিটেনের পাশেই রয়েছে স্বাধীন আয়ারল্যান্ড। আয়ারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ। ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে স্বাধীন আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে। ব্যাকস্টপ হলো, এই সীমান্ত উন্মুক্ত রাখার নিশ্চয়তা। আর উন্মুক্ত রাখার অর্থই হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনের অধীনে থাকা। যুক্তরাজ্য যদি ইইউ থেকে বেরিয়ে আসে, তাহলে এই সীমান্ত কেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনের অধীনে থাকবে—তা নিয়েই জটিলতার সূচনা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দীর্ঘ দেন-দরবারের পর কিছুটা পরিবর্তিত আকারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খসড়া বিলটি সংসদের এনেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ব্যাকস্টপে এখন বলা হয়েছে, এই দুই ভূখণ্ডের মধ্যে অবাধ যাতায়াত হবে সাময়িক। নিজ দলের সংসদ সদস্যদের তিনি এই খসড়ায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, এবার বিলের পক্ষে ভোট না দিলে ব্রেক্সিট হুমকির মুখে পড়তে পরে।

সংসদে পরাজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার উচিত কিনা সংসদ সদস্যরা এ ব্যাপারে আরেকটি ভোট দেবেন।

তবে বিরোধী দলের নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, এবার প্রধানমন্ত্রীর উচিত সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করা।