বড় টার্গেট দিল বাংলাদেশ

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে পাপুয়া নিউ গিনিকে ১৮২ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছে বাংলাদেশ। ওমানের মাসকটে আল আমিরাত স্টেডিয়ামে প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। নিজের সিদ্ধান্তের সার্থকতাও পূরণ করেছেন তিনি।

মাত্র ২৭ বলে তিন চার ও তিন ছক্কায় অর্ধশতক করে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে গেছেন টাইগার দলপতি। তবে এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। ২৮ বলে ৫০ রানেই থেমেছে তার ইনিংস। এছাড়া সাকিবের দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও লিটনের কার্যকরী ইনিংসে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করেছে মাহমুদউল্লাহর দল। সুপার টুয়েলভে যেতে বাংলাদেশকে তিন রানেই জিতলেই চলবে।

সাইফউদ্দিনের কাছ থেকে টি-টোয়েন্টিতে শেষ দিকে দ্রুত ইনিংস চায় বাংলাদেশ। আজ তিনি সেটি উপহার দিয়েছেন। শেষ দিকে তার ৬ বলে ১৯ রানের ইনিংসটিই বাংলাদেশকে পৌঁছে দেয় বড় সংগ্রহে। শেষ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ২০ রান। এর ১৯ রানই এসেছে সাইফের ব্যাট থেকে।

বিগ হিট করতে গিয়ে আফিফের বিদায়
১৪ বলে ২১ রান করে ফিরে গেছেন আফিফ। আরো বড় ইনিংসের আভাস দিয়েও আকাশে তুলে ক্যাচে পরিণত হয়েছে বাহাতি এই ব্যাটসম্যান।

নুরুল হাসান ডাক
টানা ব্যাট হাতে ব্যর্থ নুরুল হাসান। ফিরেছেন ১ বলে ০ করে।

নট-আউট, আউট, আউট
ডেমিয়েন রাভুর ফুলটসটা তুলে মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েছেন। নো-বল দেখার জন্য যাওয়া হয়েছিল টিভি আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানির কাছে। রিপ্লে দেখেও মনে হয়েছে, মাহমুদউল্লাহ আউটই। তবে জায়ান্ট স্ক্রিনে এরপর গ্যাফানির সিদ্ধান্ত শুরুতে দেখানো হয়েছিল আউট হিসেবে। যদিও ভুলটা বোঝা যাচ্ছিল তখনোই। একটু পরই জায়ান্ট স্ক্রিন দেখিয়েছে, মাহমুদউল্লাহকে ফিরতেই হচ্ছে।

আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন সাকিব
গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচে বাংলাদেশের ত্রাতা সাকিব। এক হাতের শটে একটা ছয়ের পর আবারও তুলে মারতে গিয়ে চার্লস আমিনির দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হলেন সাকিব। অফস্টাম্পের বাইরের বলটা টেনে মারতে গিয়েছিলেন, তবে টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। বাউন্ডারির কাছাকাছি থেকে অনেকটা ছুটে এসে সামনে ঝাঁপিয়ে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত অন্যতম সেরা ক্যাচ নিয়েছেন আমিনি। সাকিব থামলেন ফিফটির আগেই, ৩৭ বলে ৪৬ রান তার।

হতাশ করে মুশফিকের বিদায়
আরেকবার দৃষ্টিকটুভাবে আউট মুশফিক। ক্রিজে নেমে সাকিবকে বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। দলীয় ৭২ রানে আতাইয়ের বলে ৮ বলে ৫ রান করে ফেরেন তিনি। এই মুহূর্তে সাকিবকে সঙ্গ দিতে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ।

ফিরলেন লিটন
ম্যাচের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এলেন অধিনায়ক আসাদ ভালা। সফল হলেন প্রথম বলেই। তাকে স্লগ সুইপ করেছিলেন লিটন, ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন ২৩ বলে ২৯ রান করে। ৫০ রানে দ্বিতীয় উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। চারে এসেছেন মুশফিকুর রহিম, ওমানের বিপক্ষে তিনি নেমেছিলেন আট নম্বরে।

প্রথম বলে জীবন পেয়ে দ্বিতীয় বলে বিদায় নাঈমের
কাবুয়া ভাগি-মোরেয়ার প্রথম বলেই খোঁচা দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। তবে সেটা উইকেটকিপারের ঠিক আগে পড়ায় বেঁচে গিয়েছিলেন। পরের বলে অবশ্য বাঁচার কোনো সুযোগ থাকল না নাঈমের। লেগস্টাম্পের ওপরের বলটা ফ্লিক করেছিলেন, তবে ওপরে উঠেছে সেটা। মিডউইকেটে ভুল করেননি সেসে বাউ, পেছন দিকে পিছিয়ে নিয়েছেন ভালো একটা ক্যাচ। আগের ম্যাচে ফিফটি করা বাংলাদেশ ওপেনার ফিরেছেন কোনো রান না করেই। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারাল দ্বিতীয় বলে।